লোক বিশ্বাসে রোগ নিরাময়ের কল্পতরু হাওড়ার আমতার বানেশ্বর শিব
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আজ সোমবার, শিবের বার। বাংলাজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে অজস্র শিব মন্দির, তেমনই হাওড়ার আমতার তাজপুরে রয়েছে বানেশ্বর।
মন্দির। এই মন্দিরের আনুমানিক বয়স ৪৬০ বছর। ভক্তদের বিশ্বাস যুগ যুগ ধরে শিবের কৃপায়, তাঁরা বিভিন্ন অসুখ থেকে মুক্তি পান। বিভিন্ন সমস্যা থেকে মুক্ত পেতে ভক্তরা ছুটে আসেন।
কথিত আছে, ৪৬০ বছরেরও বেশি আগে হাওড়া কাশিদা গ্রামের জয়দেব সামন্ত এই মন্দিরের প্রতিষ্ঠাত করেছিলেন। বংশ পরম্পরায়, তাঁরাই বানেশ্বরের পুজো করে আসছেন। বানেশ্বর মন্দিরের দক্ষিণ-পশ্চিম প্রান্তে রয়েছে শীতলা মন্দির। মন্দিরের পাশেই রয়েছে পুকুর। প্রতিদিন নিয়ম করে সকাল দশটায় মন্দিরের পুজো শুরু হয়। সন্ধায় পুজো ও আরতি। প্রতিদিন নৈবেদ্যে পাঁচ পোয়া আতপ চাল ও ৪০০ গ্রাম চিনি ও ক্ষীর নিবেদন করা হয়।
শোনা যায়, পুরোহিত নারায়ণ চন্দ্র অধিকারী স্বপ্নে বানেশ্বরের ওষুধ পেয়েছিলেন। তাই তিনি ভক্তদের দিতেন। ভক্তদের রোগ সেরেও যেত। অম্লসুর, পৃৎসুর, বায়ুসুর, সাদাস্রাব, রক্তস্রাব, বাদক, কালো বাদকসহ নানা রোগ নিরাময় হত বলে কথিত রয়েছে। আজও ভক্তদের বিশ্বাস, রোগ-বালাই দেখা দিলে ভক্তি ভরে নিয়ম মেনে বাবার ওষুধ খেলে অসুখ সেরে যায়। বহু দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসেন সেই বিশ্বাসে ভর করে। চৈত্রের গাজন উৎসবে প্রচুর ভক্ত সমাগম হয়। গাজন উপলক্ষ্যে কয়েকদিন বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠান চলে।