অজিত-প্রফুল্লদের রেহাই? দল বদলে পদ্মে গেলেই থামবে তদন্ত?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দল বদলে ফেললেই তদন্ত থেকে রেহাই! বিজেপির বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ করেন বিরোধীরা। বাস্তবে দেখাও গিয়েছে তাই, দল পাল্টে গেরুয়া শিবিরে যোগ দিলেই থেমে যায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তদন্ত। শুভেন্দু অধিকারী থেকে হেমন্ত বিশ্বশর্মা সকলেই রেহাই পেয়েছেন। এবার অজিত পাওয়ার, প্রফুল্ল প্যাটেলদের বিরুদ্ধে থামতে চলেছে ইডির তদন্ত।
দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়ার ডাক দিয়ে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় এসেছিল বিজেপি। কিন্তু, দিন যত এগোচ্ছে, ক্রমশ বিজেপিই দুর্নীতিগ্রস্তদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে। মহারাষ্ট্রে বিজেপির ডবল ইঞ্জিন সরকারে যোগ দিয়েছেন এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ারের ভাইপো অজিত পাওয়ার। ক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা এনসিপি সাংসদ প্রফুল্ল প্যাটেলসহ একাধিক হেভিওয়েট নেতাও দল বদলেছেন। তাঁদের অনেকের বিরুদ্ধে আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগে ইডি তদন্ত চালাচ্ছে। যাঁরা বিজেপির সঙ্গে জোটে এসেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ইডির তদন্ত থামানোর মৌখিক নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, তদন্ত চালানোর যৌক্তিকতা নিয়ে নাকি ইডি আধিকারিকরাই প্রশ্ন তুলছেন।
জানা গিয়েছে, মহারাষ্ট্রের বর্তমান উপ মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের বিরুদ্ধে ২৫,০০০ কোটি টাকার দুর্নীতির মামলা রয়েছে। ইডির চার্জশিটে অজিতের সংস্থার উল্লেখ রয়েছে। অজিতের স্ত্রীর নামে থাকা একটি চিনিকলও এই মামলায় যুক্ত রয়েছে। প্রফুল্ল প্যাটেলের বিরুদ্ধে হাওলার মাধ্যমে টাকা পাচারের অভিযোগ রয়েছে ইডি কাছে। অজিত শিবিরের ছগন ভুজবল বেআইনি আর্থিক লেনদেনের মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। এসব অভিযোগকে কেন্দ্র করে তদন্ত চালাচ্ছিল ইডি। অভিযুক্তদের সম্পত্তির নথি জোগাড়ের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ শুরু করেছিল ইডি। অভিযুক্ত নেতাদের বিরুদ্ধে জোরালো তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করার নির্দেশ দিয়েছিল ইডি।
কিন্তু অজিত পাওয়ার শিন্দে সরকারে যোগ দিতেই বদলে যায় পরিস্থিতি। শোনা যাচ্ছে, উপরতলা থেকে মৌখিকভাবে তদন্ত থামানোর নির্দেশ এসেছে। ইডি আধিকারিকরা রীতিমতো বিস্মিত। বিরোধী নেতারা বিজেপিকে প্রায়শই ওয়াশিং মেশিন বলে কটাক্ষ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কারণ, দল বদলে গেরুয়া জার্সি পড়লেই সব সাফ, স্তিমিত হবে তদন্ত। কেন্দ্রীয় এজেন্সিকে যে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হয়, তাও ফের একবার মহারাষ্ট্রের ঘটনায় প্রমাণিত হল।