#BREAKING রাজ্যের ২০টি জেলা পরিষদেই নিরঙ্কুশ জয় তৃণমূলের,আস্থাহীন জোট?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গ্রাম দখলের লড়াইয়ে পরাজিত রামধনু জোট। ত্রিস্তর নির্বাচনের বিভিন্ন আসনে, জোট, সমঝোতা ও নানাবিধ আঁতাত গড়েছিল রাম, বাম, কংগ্রেস ও আইএসএফ, জোট বেঁধেছিলেন নির্দলরাও। কিন্তু বিরোধীদের জোট কোনও ছাপ রাখতে পারল না। ভোটের ফল বেরোতেই সবুজ হল বাংলা। গোটা রাজ্যের নিরিখে এক শতাংশরও কম বুথে হিংসার ঘটনাকে ঘিরে লাগাতার প্রচার, রাজভবন-রাজ্যপালের অতিসক্রিয়তা, রাষ্ট্রপতি শাসনের শাসানি, বাংলা ভাগের উস্কানি, এক্সিট পোল, সব অঙ্ক উল্টে গেল ফল সামনে আসতেই।
বিজেপি নেতাদের স্বঘোষিত গড় জঙ্গলমহল এবং উত্তরবঙ্গে গেরুয়া শিবির মুখ থুবড়ে পড়েছে। আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি এমনকী দার্জিলিং ও কালিম্পংয়ে পর্যন্ত বাংলার শাসক দলের দাপট অব্যাহত। পাহাড়ের দুই জেলায় অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার সঙ্গে রাজ্যের শাসকদলের জোট ছিল। বিজেপির সর্বভারতীয়সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ, কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের মতো গেরুয়া নেতাদের নিজের নিজের বুথে হেরেছে বিজেপি। আমতার ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুকে নির্বাচনে হাতিয়ার করেছিল বামেরা। সেই আনিসের দাদাকে পঞ্চায়েত সমিতিতে টিকিট দিয়েছিল সিপিএম, সেই আসনে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। এমনকী আনিসের বাড়ির বুথে পর্যন্ত হারতে হয়েছে তাদের। বগটুইয়ে তৃণমূলের দাপট, নন্দীগ্রামেও হাড্ডাহাডি লড়াই দিয়েছে জোড়াফুল।
১১ জুলাই সকাল থেকে শুরু হয়েছে গণনা, একেবারে প্রথমে গ্রাম পঞ্চায়েত তারপর যথাক্রমে পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ। ১২ তারিখ সকাল ১০টা নাগাদ জয়/ এগিয়ে থাকার ট্রেন্ড বলছে:
জেলা পরিষদ মোট আসন: ৯২৮
তৃণমূল: ৫৬৩ বিজেপি:২৪ সিপিএম:৫ কংগ্রেস: ৮ অন্যান্য: ২
পঞ্চায়েত সমিতি মোট আসন: ৯,৭৩০
তৃণমূল:৫,৪৩২ বিজেপি: ৬০১ সিপিএম:১৪০ কংগ্রেস: ১৬৫ অন্যান্য: ৫০
গ্রাম পঞ্চায়েত মোট আসন: ৬৩,২২৯
তৃণমূল:৪২,০৭৬ বিজেপি+: ৮,৮৬৬ সিপিএম: ৯,৩০৭ কংগ্রেস:২,৯৩২ অন্যান্য: ২,২৩১ টাই: ৪১১