বহ্বারম্ভে লঘুক্রিয়া? পঞ্চায়েতে BJP-র হারের দায় কি চাপানো হবে শুভেন্দুর ওপরেই?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ঠিক যেন বিধানসভা নির্বাচনের ‘অ্যাকশন রিপ্লে’! পঞ্চায়েতে সবুজ হল গ্রাম বাংলা। বিজেপির গর্জনই সার! গ্রাম বাংলাজুড়ে দাগ কাটতে পারল না বিজেপি। পাশাপাশি নিজেদের গড় হিসেবে দাবি করা জঙ্গলমহল এবং উত্তরবঙ্গে মুখ থুবড়ে পড়েছে গেরুয়া শিবির। একুশের হারের বলি হয়েছিল দিলীপ, এবার কি শুভেন্দু হবেন হারের বলির পাঁঠা?
সাংসদ দিলীপ ঘোষ, পাশাপাশি শান্তনু ঠাকুর, নিশীথ প্রামাণিক, জর্ন বার্লার মতো কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও নিজেদের বাড়ির এলাকায় জিততে পারেননি। ভরাডুবি হতেই, বঙ্গ বিজেপি হিংসা-সন্ত্রাসের তত্ত্ব ঝুলি থেকে বের করে ফেলেছে কিন্তু দিল্লির নেতারা এই তত্ত্বকে আর বিশেষ পাত্তা দিচ্ছে না। কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে বাংলায় বিজেপির সংগঠনের বেহাল দশা। তবে কি এবার শুভেন্দুকে সরিয়ে দেবে বিজেপি? পঞ্চায়েত ভোট পর্বে গেরুয়া সেনাপতির ভূমিকা পালন করেছিলেন শুভেন্দু। নিজের এলাকায় জিতলেও, পূর্ব মেদিনীপুরে একাধিপত্য বজায় রেখেছে তৃণমূল। নন্দীগ্রামেও হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে।
কেন্দ্রীয় বিজেপির বক্তব্য, সংগঠনের কঙ্কালসার অবস্থা ঢাকতেই বাংলার গেরুয়া নেতারা সন্ত্রাসের তত্ত্ব হাজির করছেন। দলের অন্দরে খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পরই বুথ সংগঠনের প্রকৃত হাল জানতে মরিয়া বিজেপি। রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচন একেবারে শান্তিপূর্ণ হলে কত আসনে জয় পেত বিজেপি? এমনই প্রশ্ন করা হয়েছে সুকান্ত মজুমদারকে। সাংগঠনিক রিপোর্টের সঙ্গে রাজ্য বিজেপির সভাপতির উত্তর মিলিয়ে দেখবেন কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব।
লোকসভা নির্বাচনের এক বছরও বাকি নেই। তার আগে এহেন ফলাফলে চিন্তা বেড়েছে বিজেপির, বাদল অধিবেশন চলাকালীন দিল্লিতে বঙ্গ বিজেপির সঙ্গে জরুরি বৈঠক করতে পারেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। পঞ্চায়েত ভোটের প্রাথমিক ট্রেন্ড সামনে আসতেই, তড়িঘড়ি পরাজয়ের প্রাথমিক কারণ ব্যাখ্যা করে দিল্লিতে পাঠান দলের বঙ্গ নেতারা। সন্ত্রাসকে হারের কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই উত্তরে মোটেও সন্তুষ্ট নয় কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই বাংলায় দলের বুথ সংগঠন কতটা শক্তিশালী, এবার তা পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে পরখ করতে চাইছেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারা।
পঞ্চায়েতে এই ফলাফলের পর মনে করা হচ্ছে, বাংলায় জেলা স্তরে ব্যাপক সাংগঠনিক রদবদল হতে চলেছে। নির্দেশ দেবেন দলের শীর্ষ কেন্দ্রীয় নেতারা। ওয়াকিবহাল মহলের মত, কেন্দ্রীয় বিজেপি মুখ রক্ষা করতে, এবার আসরে নামাবে এনআইএ-কে। জঙ্গি হামলা তথা সন্ত্রাসবাদ নিয়ে তদন্ত করার জন্য যে সংস্থার জন্ম হয়েছিল, তাদের দিয়ে বাংলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের সন্ত্রাসের তদন্ত করানোর দাবি তুলেছে কেন্দ্রীয় বিজেপি