আফ্রিকা থেকে আনা আরেকটি চিতার মৃত্যু কুনোয়, উঠছে প্রশ্ন
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মধ্যপ্রদেশের কুনো জাতীয় উদ্যানে আফ্রিকা থেকে আনা আরেকটি চিতার মৃত্যু হল। জানা গিয়েছে, মৃত চিতাটির নাম ছিল সুরজ। নামিবিয়া থেকে আনা এই বন্যপ্রাণীটি মারা গিয়েছে শুক্রবার। এদিন সকালে কুনোর জঙ্গলে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ত্যুর কারণ এখনও জানা যায়নি।
এ নিয়ে গত চার মাসে ভারতের মাটিতে মৃত্যু হল আটটি চিতার। ভারতে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া চিতাকে ফেরাতে সাড়ম্বরে সরকারিভাবে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কিন্তু কুনোয় একের পর এক মৃত্যুর ঘটনায় সেই উদ্যোগ ধাক্কা খাচ্ছে। এখনও পর্যন্ত আটটি চিতার মৃত্যু এই প্রকল্প ঘিরে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। গত বছর ১৭ সেপ্টেম্বর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর জন্মদিনে আফ্রিকার নামিবিয়া থেকে প্রথম দফায় আটটি চিতা কুনোয় ছাড়া হয়েছিল। সেগুলির মধ্যে ছিল ৫টি স্ত্রী ও ৩টি পুরুষ চিতা। তারপর চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল আরও ১২টি চিতা। সেগুলির মধ্যে ৫টি স্ত্রী ও ৭টি পুরুষ চিতা। সবমিলিয়ে মোট ২০টি চিতা। ওই আফ্রিকান চিতাগুলিকে ধাপে ধাপে এনক্লোজার থেকে জঙ্গলে ছাড়ার প্রক্রিয়া চলাকালীনই গত ২৭ মার্চ প্রথম চিতা মৃত্যুর খবর আসে। ওই দিন কিডনির অসুস্থতায় মারা যায় সাশা নামে একটি স্ত্রী চিতা। ওই সময়েই নামিবিয়া থেকে আনা চিতা সিয়ায়া চারটি শাবকের জন্ম দেয়। এই সুখবরের কিছুদিনের মধ্যেই আসে দুঃসংবাদ।
গত মঙ্গলবারই আফ্রিকা থেকে আনা সপ্তম চিতা তেজসের মৃত্যু হয়েছিল। তার ময়নাতদন্তের রিপোর্টে লেখা ছিল, চিতাটি ভিতর থেকে দুর্বল হয়ে পড়েছিল। কিছু দিন আগে জঙ্গলের আর একটি চিতার সঙ্গে তার লড়াই বাধে। সে সময় শরীরে একাধিক ক্ষত হয়ে গিয়েছিল। ওই লড়াইয়েরই রেশ কাটাতে পারেনি তেজস। তার পর থেকেই আতঙ্কে ভুগছিল আফ্রিকা থেকে ভারতের জঙ্গলে আনা চিতাটি। যা তাকে শারীরিক ভাবে আরও দুর্বল করে দেয়। তাতেই ঘনিয়ে আসে মৃত্যু।
এ বছর মে মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার বনপ্রাণ বিশেষজ্ঞ ভিনসেন্ট ভান ডার মেরওয়ে আশঙ্কাপ্রকাশ করেছিলেন, ভারতে আরও চিতার মৃত্যু হতে পারে। তাঁর দাবি ছিল, অন্য সমস্ত দিক ঠিক থাকলেও চিতা যখন নিজের এলাকা চিহ্নিত করবে বেড়াবে তখন তাকে মোকাবিলা করতে করতে হবে বাঘ এবং চিতাবাঘের সঙ্গে। সেই লড়াইয়ে বিদেশ থেকে আনা চিতার এঁটে ওঠা মুশকিল।