অচলাবস্থা হলিউডে! ১৯৬০ সালের পর অভিনেতা-চিত্রনাট্যকারদের ধর্মঘটের ডাক
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: হলিউডের অভিনেতারা ধর্মঘটের ডাক দিলেন। শেষ দফা আলোচনা ভেস্তে যাওয়ার পর চিত্রনাট্যকারদের সঙ্গে তাঁরা ধর্মঘটে যোগ দিলেন। ৬৩ বছরের মধ্যে এই প্রথমবার ইন্ডাস্ট্রিতে অভিনেতা ও চিত্রনাট্যকাররা একযোগে ধর্মঘট করছেন। এই ধর্মঘটের ফলে চলচ্চিত্র ও টেলিভিশনের অনুষ্ঠান বন্ধ হয়ে যাবে।
মেরিল স্ট্রিপ, জেনিফার লরেন্সের মতো এ-তালিকাভুক্ত তারকা-সহ ১ লাখ ৬০ হাজার অভিনেতাদের প্রতিনিধিত্বকারী সংগঠন দ্য স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড বলেছে, বেতন কমানো ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে কর্মক্ষেত্রে যে হুমকি তৈরি হয়েছে, সে বিষয়ে তাঁদের দাবির কোনও মীমাংসা হয়নি। কোনো ঐকমত্য ছাড়াই আলোচনা শেষ হয়েছে।
ইউনিয়নের প্রধান আলোচক ডানকান ক্র্যাবট্রি-আয়ারল্যান্ড বলেছেন, স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ডের জাতীয় বোর্ড স্টুডিও ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ধর্মঘটে যাওয়ার পক্ষে ভোট দিয়েছে।
১৯৬০ সালের পর থেকে এই প্রথমবারের মতো হলিউডে এমন একযোগে ধর্মঘট হচ্ছে। ১৯৮০ সালে অভিনেতাদের ইউনিয়ন ধর্মঘটে গিয়েছিল। এটি তিন মাসের বেশি স্থায়ী হয়েছিল। টেলিভিশন ও চলচ্চিত্রে ভবিষ্যতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের বিরুদ্ধে ও ভালো বেতনের দাবিতে চিত্রনাট্যকাররা ১১ সপ্তাহ ধরে ধর্মঘট করছেন। টেলিভিশনের জনপ্রিয় ধারাবাহিকগুলো এ বছর দেরিতে শুরু হচ্ছে। ধর্মঘট চললে চলচ্চিত্রগুলোও আটকে যেতে পারে।
দ্য স্ক্রিন অ্যাক্টরস গিল্ড এক বিবৃতিতে বলেছে, স্ট্রিমিং ইকোসিস্টেমের কারণে ক্ষতিপূরণের হার কমে গেছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সৃজনশীল কাজে হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে, তবে প্রযোজকরা এতে একমত হননি।
স্টুডিওগুলির প্রতিনিধিত্বকারী দ্য অ্যালিয়েন্স অব মোশন পিকচার ও টেলিভিশন প্রডিউসারস বলেছে, ধর্মঘটে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হতাশাজনক। বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, এটা ইউনিয়নের সিদ্ধান্ত। তাদের নয়।
চিত্রনাট্যকারদের ধর্মঘটের কারণে চলচ্চিত্র ও টিভি অনুষ্ঠানের সংখ্যা কমে গেছে। এবার অভিনেতাদের ধর্মঘটের কারণে সবকিছুই অচল হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কেবলমাত্র কিছু অ্যানিমেশন ও টক শো চলতে পারে।