পুজো স্পেশাল বিভাগে ফিরে যান

সেনহাটির দেবী বিশালাক্ষীর অলৌকিক কর্মকাণ্ড জানেন?

July 16, 2023 | 2 min read

বাংলার নিজস্ব স্থাপত্য রীতিতে জোড়বাংলা ধারায় এই মন্দিরটি নির্মিত।

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: হুগলি জেলার পোলবার দাদপুরের সিনেট গ্রামে রয়েছে বাংলার লৌকিক দেবী বিশালাক্ষীর মন্দির। এই মন্দির ঘিরে অলৌকিক কাহিনীর অন্ত নেই। এই মন্দিরেই দ্বিভুজা রূপে অবস্থান করেন দেবী। মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন স্থানীয় বর্ধিষ্ণু হালদার পরিবার। হুগলির উত্তরপাড়া থেকে পুরোহিত এনে, তাঁরা দেবীর পুজোর ব্যবস্থা করেছিলেন। শোনা যায়, স্বয়ং দেবী বিশালাক্ষী এই মন্দিরে কুমারী রূপে শাঁখা পরতে এসেছিলেন।

কথিত আছে, একদা বর্ধমানের মহারাজা রোগে খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। মহারাজার এক কর্মচারী পোলবায় থাকতেন। তিনিই মহারাজের হাতে দেবী বিশালাক্ষীর চরণামৃত এবং প্রসাদী ফুল তুলে দেন। সেই চরণামৃত পান করে মহারাজা সেরে ওঠেন। আরোগ্য লাভের পর ১৮২২ সাল নাগাদ মহারাজা প্রাচীন মন্দিরের বদলে দেবীর আজকের মন্দিরটি নির্মাণ করিয়ে দিয়েছিলেন। বিপুল পরিমাণ জমিও দান করেছিলেন।

বাংলার নিজস্ব স্থাপত্য রীতিতে জোড়বাংলা ধারায় এই মন্দিরটি নির্মিত। মন্দিরের সামনে রয়েছে নাটমন্দির। মন্দিরের পাশে রয়েছে বহু পুরনো এক বিশাল পুকুর। কথিত আছে, সেই পুকুরের ধারে এক শাঁখারির থেকে কুমারী রূপে শাখা পরে দাম আনতে যাচ্ছি বলে স্থানীয় হালদার বাড়িতে চলে যান দেবী। মেয়েটি না ফেরায় শাঁখারি দাম আনতে হালদার বাড়িতে যান। হালদাররা ছিলেন নিঃসন্তান। সেই রাতেই হালদারকর্তা স্বপ্নাদেশে নির্দেশ পান দেবীকে পুকুরের পাশে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। হালদার বাড়ির কর্তা দেবীর মূর্তিটি স্থাপন করেন। এই অঞ্চলে এক সময় কেদারমতী নদী প্রবাহিত ছিল। তার উত্তর দিকে ছিল দেবী দ্বারবাসিনী বিষহরির মন্দির। আর, দক্ষিণে ছিল বিশালাক্ষীর মন্দির। ভক্তদের কাছে এই দুই দেবী, দুই বোন।

ফাল্গুন সংক্রান্তিতে এখানে মেলা বসে। তাকে বলে রান্না খাওয়া মেলা। দেবীর বিশেষ পুজো হয়। জ্যৈষ্ঠ মাসের সংক্রান্তিতে দেবীর জন্মদিন পালন হয়। দুর্গাপুজোর নবমীতে এখানে উৎসবের আয়োজন করা হয়। তিনিবার- দুর্গাপুজোর নবমী, জ্যৈষ্ঠ সংক্রান্তি ও ফাল্গুন সংক্রান্তিতে, এই তিনদিন দেবীকে অন্ন ভোগ দেওয়া হয়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #hooghly, #Polba, #Bishalakshi debi, #Bishalakshi debi mandir

আরো দেখুন