পঞ্চায়েত ভোটের পর কোথায় দাঁড়িয়ে বাংলার গেরুয়া সাংসদরা?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি:
সুকান্ত মজুমদার, বালুরঘাট
রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বালুরঘাট লোকসভা আসনে ফল ভাল হয়নি। জেলা পরিষদে কোনও আসনেই জয় আসেনি বিজেপির।
দিলীপ ঘোষ, মেদিনীপুর
প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি এবং বর্তমান সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষের এলাকায় পঞ্চায়েত সমিতির মোট ২১২ আসনের মধ্যে তৃণমূলের দখলে ১৯৯। বিজেপির ১১। গ্রাম পঞ্চায়েতের মোট ১৩২৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূল জিতেছে ১০৪৭টি। বিজেপি ২১৭টি। জেলা পরিষদের কোনও আসন পায়নি বিজেপি।
নিশীথ প্রামাণিক, কোচবিহার
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের জেলা কোচবিহার জেলা পরিষদের ৩৪টি আসনের মধ্যে কোচবিহার লোকসভা এলাকায় ২৩টি আসন রয়েছে। তার মধ্যে তৃণমূলের দখলে ২২টি আসন। বিজেপির দখলে মাত্র একটি।
জন বার্লা, আলিপুরদুয়ার
আলিপুরদুয়ারের সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জন বার্লার জেলায় বিরোধীশূন্য জেলা পরিষদের ১৮টি আসনই তৃণমূলের দখলে।
শান্তনু ঠাকুর, বনগাঁ
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তুনু ঠাকুরের লোকসভার অন্তর্গত মতুয়া অধ্যুষিত বনগাঁ উত্তর, বনগাঁ দক্ষিণ, বাগদা এবং গাইঘাটা; এই চার বিধানসভায় জেলা পরিষদের মোট আসন ৯টি। সবকটিই জিতেছে তৃণমূল। পঞ্চায়েত সমিতির ১২৪টি আসনের মধ্যে ১১২টি জোড়াফুলের দখলে গিয়েছে।
সুভাষ সরকার, বাঁকুড়া
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকারের বাঁকুড়া লোকসভায় মাত্র একটি পঞ্চায়েত পেয়েছে বিজেপি। পঞ্চায়েত সমিতিতে এবং জেলা পরিষদে কোনও আসন নেই বিজেপির।
লকেট চট্টোপাধ্যায়, হুগলি
লকেট চট্টোপাধ্যায়ের লোকসভায় বলাগড়, পান্ডুয়া, চুঁচুড়া, মগড়া, পোলবা-দাদপুর, ধনিয়াখালি, সিঙ্গুর ছটি পঞ্চায়েত সমিতিই তৃণমূল দখল করেছে। ২৫৪টি পঞ্চায়েত সমিতির আসনে বিজেপি জিতেছে মাত্র ৬টিতে। জেলা পরিষদের ১৮টি আসনের সবগুলিই তৃণমূলের ঝুলিতে গিয়েছে।
দেবশ্রী চৌধুরী, রায়গঞ্জ
রায়গঞ্জের সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরীর জেলায় ৯৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে নটি। নয়টি পঞ্চায়েত সমিতির সবকটিই দখল করেছে তৃণমূল। জেলা পরিষদ বিরোধীশূন্য।
জয়ন্তকুমার রায়, জলপাইগুড়ি
জয়ন্তকুমারের লোকসভা এলাকায় ডাবগ্রাম ফুলবাড়ি, সদর, মেখলিগঞ্জ সর্বত্রই হেরেছে বিজেপি।
রাজু বিস্তা, দার্জিলিং
দার্জিলিংয়ের ৫৯৮টি গ্রাম পঞ্চায়েতে অনীতের প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা একাই দখল করেছে ৩৪৯টি আসন। অন্যদিকে, বিজেপি পেয়েছে ৫৯টি আসন। পঞ্চায়েত সমিতির মোট ১৫৬টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছে ১৯টি আসন।
খগেন মুর্মু, মালদহ উত্তর
খগেন মুর্মুর এলাকা বামনগোলা, হবিবপুরে উল্লেখযোগ্য ফল হয়নি বিজেপির। গাজোল, চাঁচোল, হরিশ্চন্দ্রপুর বা রতুয়া বিধানসভাতেও বিজেপির জেলা পরিষদের কোনও আসন নেই।
কুনার হেমব্রম, ঝাড়গ্রাম
ঝাড়গ্রাম লোকসভা এলাকায় জেলা পরিষদে কোনও আসনে জেতেনি বিজেপি। কোনও পঞ্চায়েত সমিতি বা গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করতে পারেনি বিজেপি।
জ্যোতির্ময় মাহাতো, পুরুলিয়া
পুরুলিয়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপি ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েত দখল করলেও, পঞ্চায়েত সমিতি পায়নি। জেলা পরিষদে জ্যোতির্ময়ের লোকসভা এলাকার মধ্যে থেকে দুটি আসন পেয়েছে বিজেপি।
সৌমিত্র খাঁ, বিষ্ণুপুর
বিষ্ণুপুর লোকসভা এলাকায় ন’টি গ্রাম পঞ্চায়েতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ও একটি জেলা পরিষদ আসন জিতেছে বিজেপি।
এস এস অহলুওয়ালিয়া, বর্ধমান দুর্গাপুর
প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অহলুওয়ালিয়ার লোকসভার মধ্যে সেখানকার সব জেলা পরিষদ আসন তৃণমূলের দখলে। পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতেও একই ছবি।
জগন্নাথ সরকার, রানাঘাট
রানাঘাট লোকসভার অন্তর্গত গ্রাম পঞ্চায়েতে ভাল ফল করলেও, পঞ্চায়েত সমিতি বা জেলা পরিষদে বিজেপি সাফল্যের মুখ দেখেনি।