চলছে জল্পেশ মন্দিরের শ্রাবণী মেলা, জানেন কী প্রাচীন এই শৈব তীর্থের ইতিহাস?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: শতাব্দী প্রাচীন শৈব তীর্থ উত্তরবঙ্গের জল্পেশ মন্দির। এটি জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি থেকে সাত থেকে আট কিলোমিটার দূরে জরদা নদীর তীরে অবস্থিত। ভ্রামরী শক্তিপীঠের ভৈরব হলেন জল্পেশ। শিব চতুর্দশী ও শ্রাবণী মেলায় লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয় এই শৈবতীর্থে। এবারেও তার ব্যতিক্রম হল না। এই মন্দির সংলগ্ন স্থানে শুরু হয়েছে ঐতিহ্যবাহী শ্রাবণী মেলা। চলবে আগামী ২৮ আগস্ট পর্যন্ত।
জানা যায়, ১৫২৪ সালে বিশ্ব সিংহ জল্পেশ মন্দির প্রতিষ্ঠাতা করেন। কোচবিহারের মহারাজা নরনারায়ণের পিতা ছিলেন বিশ্ব সিংহ। এর একশ বছরেরও বেশি পরে ১৬৬৩ খ্রিস্টাব্দে রাজা প্রাণনারায়ণ মন্দিরটি পুনর্নির্মাণ করেন। মন্দিরটি বৈকুণ্ঠপুরের রায়তদের তত্ত্বাবধানে ছিল। ১৮৯৯ সালে রানি জগদেশ্বরী দেবী মন্দিরটির পুনঃপ্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
ঐতিহ্যবাহী এই মন্দিরে পূজা উপলক্ষ্যে বছরে ৩টি বৃহৎ মেলা বসে । যার মধ্যে উল্লেখনীয় শ্রাবণ মাসের শ্রাবণী মেলা। এই মেলাকে কেন্দ্র করে ঢল নামে হাজার হাজার ভক্তদের। এরাজ্যের পাশাপাশি পড়শী রাজ্য থেকেও শিবের মাথায় জল ঢালতে আসেন বহু পূণ্যার্থীরা।
মেলাকে সুষ্ঠভাবে পরিচালনা ও নিরাপত্তার দায়িত্বে মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ড কর্তৃপক্ষ ও জেলা প্রশাসন। রবিবার সকাল থেকেই দর্শনার্থীদের জন্য খোলা ছিল মন্দির। সূত্রের খবর, এবছর নিরাপত্তার জন্য মন্দির চত্বরে বসানো সিসিটিভি গুলির সংস্কার করা হয়েছে। এছাড়াও রয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষর শতাধিক স্বেচ্ছাসেবক। মেলায় পুলিশি নিরাপত্তা, সিভিল ডিফেন্স কর্মী, মেডিকেল টিম সবকিছুই মোতায়েন রয়েছে।
জানা গেছে, মন্দিরে প্রবেশের টিকিট মূল্য এবারেও কোনও পরিবর্তন করা হয়নি। স্পেশাল টিকিট ১০০ টাকা এবং সাধারণ টিকিটের মূল্য ২০ টাকা। প্রসঙ্গত, শ্রাবণ মাস মল মাস হলেও জল্পেশ মন্দিরে এই মাসে পুজো দিতে পারেন অগণিত ভক্তরা ।