উপার্জন নয়, কোন মাপকাঠিতে দারিদ্র্যতা পরিমাপ করবে মোদী সরকার?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: আর্থিক স্বচ্ছলতা, উপার্জন ইত্যাদি এখন অতীত। নয়া মাপকাঠিতে দারিদ্র্যতা মাপতে উৎসাহী মোদী সরকারের নীতি আয়োগ। পিএম জনধন যোজনার ব্যাঙ্ক আকাউন্ট, পিএম আবাস যোজনায় বাড়ি, উজ্জ্বলায় রান্নার গ্যাস, স্বচ্ছ পানীয় জল, পুষ্টিকর খাবার, স্কুলে পড়াশোনার মতো সুবিধা পেলেই আর গরিব নন উপভোক্তা। সোমবার এমনই তত্ত্ব খাড়া করেছে নীতি আয়োগ। ন্যাশনাল মাল্টিডায়মেনশনাল পভার্টি ইনডেক্স প্রকাশ কাজ, ব্যাখা দিয়েছেন নীতি আয়োগের ভাইস চেয়ারম্যান সুমন বেরি।
নীতি আয়োগের দাবি, গোটা দেশে গত পাঁচ বছরে সাড়ে ১৩ কোটি দেশবাসী দারিদ্র অবস্থা থেকে বেরিয়ে এসেছে। গোটা দেশে এখন দারিদ্র্যের হার মাত্র ১৪.৯৬ শতাংশ। পাঁচ বছর আগে যা ছিল ২৪.৮৫ শতাংশ। দাবি করা হচ্ছে, কেন্দ্রীয় সরকারি নানান প্রকল্প রূপায়ণের জেরেই নাকি গরিবের সংখ্যা কমছে।
উল্লেখ্য, বাংলায় গরিবের সংখ্যা অর্ধেক হয়েছে। নীতি আয়োগের রিপোর্ট বলছে, পাঁচ বছর আগে বাংলাবাসীর ২১.২৯ শতাংশ ছিল গরিব। এখন তা কমে ১১.৯৮ হ্রাস হয়েছে।
জাতীয় পরিবার স্বাস্থ্য সমীক্ষাকে ভিত্তি করে নীতি আয়োগ এই রিপোর্ট তৈরি করেছে। রিপোর্টে দাবি করা হয়েছে, শহর, গ্রাম এবং উভয়ক্ষেত্রেই গরিব মানুষের সংখ্যা কমছে। কিন্তু মানুষ কত টাকা উপার্জন করলে তাকে আর গরিব হিসেনে চিহ্নিত করা যাবে না? এখানেই রয়েছে বিরাট গন্ডগোল। গরিব হিসেবে চিহ্নিত করার সূচক হিসেবে আয়কে রাখা হয়নি। নীতি আয়োগের রিপোর্টে উপার্জনের বিষয়টি গরিবের সূচক নির্ণয়ে ব্যবহার করা হয়নি। আর্থিকভাবে স্বচ্ছল না হলেও এমনকি নির্দিষ্ট ও স্থায়ী উপার্জন না থাকলেও; বাড়ি, রান্নার গ্যাসসহ নানান সরকারি সুবিধা মিললেই আর গরিব হিসেবে চিহ্নিত করা চলবে না।