২১শে জুলাইয়ের আগে রাজনৈতিক চা-চক্রে সমাজ মাধ্যমের কর্মীরা
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ডিজিটাল যুগে আড্ডাটা নস্টালজিক হলেও বাঙালির কাছে তার অস্তিত্ব এখনও দেখতে পাওয়া যায়। পুজোয় আড্ডা, প্রাকপুজোতেও আড্ডা আছেই তার সাথে জুড়ে গেছে চায়ের রাজনৈতিক আড্ডা। আজ ধর্মতলার সন্নিকটে ‘সুবর্ণ বণিক সমাজ ট্রাস্ট হলে’তেমনই এক জমজমাট চায়ের আড্ডার আয়োজন করেছিল সোশ্যাল মিডিয়ার কর্মীরা। তবে নামে আড্ডা হলেও দিনটি স্মরণসভা ও আলোচনা সভায় পরিণত হয়েছিল।
২১ জুলাই, শহিদ দিবসের প্রাক্কালে কর্মীদের মধ্যে যে উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা যায় তার কিছুটা ছোঁয়া দেখতে পাওয়া গিয়েছিল আজকের ‘চায়ের আড্ডা’-য় । এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূলের বহু সমর্থক, সমাজসেবী এবং একঝাঁক যুব নেতৃত্ব। সূর্য মধ্যগগনে উঠতেই জমে গিয়েছিল রাজনৈতিক চায়ের আড্ডার আসর। রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা মানুষদের অনেকটা রাজনৈতিক গেটটুগেদারের মতোই।
সূত্রের খবর, এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত সোশ্যাল মিডিয়ার কর্মীরা প্রত্যেকেই সাদামাঠা দিদি ভক্ত। ফেসবুকে তৃণমূলের প্রচার করাটা এদের কাছে যেন একটা নেশা, পেশা নয়। জানা গেছে, প্রতিবছর এই অনুষ্ঠানটি দলের তরফ থেকে কোনও সাহায্য না চেয়েই নিজেদের মধ্যে চাঁদা তুলে আয়োজন করা হয়ে থাকে। মাঝে করোনা আবহে বন্ধ থাকলেও ২০২২ সাল থেকে ফের শুরু হয় চায়ের আড্ডার অনুষ্ঠান।
আজকের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৃণাঙ্কুর ভট্টাচার্য, অরূপ চক্রবর্তী, জুঁই বিশ্বাস, সাংসদ শুভাশীষ চক্রবর্তী, দেবাংশু ভট্টাচার্য, রিজু দত্ত, তন্বী দাস প্রমুখ। আসন্ন ২৪শের মহারণে তৃণমূলের সোশ্যাল মিডিয়া কর্মীদের প্রচার কৌশল নিয়ে বিশেষ বার্তা দেন তৃণমূল সোশ্যাল মিডিয়া ও আইটি সেলের রাজ্য ইনচার্জ দেবাংশু। তাঁর মতে, আরও বেশি সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে দলীয় প্রচারকদের৷ এছাড়াও অন্যান্য সকল নেতৃবৃন্দ সোশ্যাল মিডিয়ায় ঐক্যবদ্ধভাবে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রচারে জোর দেওয়ার কথা বলেছেন।
প্রসঙ্গত, সদ্য সমাপ্ত পঞ্চায়েত নির্বাচনে অভূতপূর্ব সাফল্যের পর রাজ্য স্তরে বাড়তি অক্সিজেন পেয়ে গেছে তৃণমূলের নিচু তলার কর্মীরা। দলীয় সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ের প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। বিরোধী জোট INDIA, দক্ষিণ ভারতে একের পর পরাজয়, মণিপুর হিংসা, দ্রব্য মূল্য বৃদ্ধি, বেকারত্ববৃদ্ধি ইত্যাদি একাধিক ইস্যুতে কার্যত দিশেহারা বিজেপি। এছাড়াও রাজনৈতিক সূত্রে খবর, আগামীকাল ২১ জুলাইয়ের মঞ্চে তৃণমূল নেত্রী কেন সব রাজনৈতিক দলকে আসার আহ্বান জানালেন? আবার নতুন কী বার্তা দিতে চলেছেন তিনি? এ ব্যাপারে যথেষ্ট চাপে পদ্ম বাহিনী।