সুব্রতর ছোঁয়ায় ডানা মেলল ‘সমরেশ বসুর প্রজাপতি’, কেমন হল নতুন ছবি?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: সমরেশ বসুর ‘প্রজাপতি’কে প্রেক্ষাপট বদলে নতুন আঙ্গিকে সাজালেন বাঙালি পরিচালক সুব্রত সেন। সময়ের দাবি মেনে ছবির গল্পে অনেকটাই বদল করা হয়েছে ‘প্রজাপতি’তে। ঋতব্রতর কণ্ঠে গান থেকে শুরু করে সম্পর্কের টানাপোড়েনের ফুল প্যাকেজ দেখা যাবে এই ছবিতে।
সুব্রত সেনের গল্পটি ছোট্ট একটি শহরতলিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে। কারখানায় যেমন শ্রমিক আছে, আছে শ্রমিকের আন্দোলন। তেমনই দুর্নীতি ও কুকীর্তির মুকুটে সততার মুখোশে রাজনৈতিক নেতারাও আছে। পিছন থেকে তাদের মদত পেয়ে মস্তানরা ক্রমশ হিংস্র হয়ে ওঠে। এর মধ্যেই আবার রয়েছে বার নাচিয়ে তরুণী। এই সব কিছুই ছবিতে ফুটিয়ে তুলেছেন পরিচালক।
ছবিতে দেখা গেছে সুখেন যেমন মস্তানি করেন তেমনই, অফিসের কর্মীকে ভয় দেখিয়ে পুরনো মাষ্টারমশাইকে তাঁর পেনশনও পাইয়ে দেয়। বেপরোয়া মানসিকতার উঠতি মস্তান ঋতব্রতকেও লক্ষ্য করা যায় এই চলচ্চিত্রে। ভাল আর মন্দের মিশেল রয়েছে এই ছবিতে। কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনেতা সুব্রত দত্ত।
সাড়ে পাঁচ দশক পর, সুব্রত সেনের ‘প্রজাপতি’ ফের ডানা মেলে উড়েছে। এখানে কোনও চরিত্রকেই পুরো কালো বা সাদা করে দেখানি পরিচালক। সমরেশ বসুর ‘প্রজাপতি’তে যেখানে সামাজিক কাঠামোর উত্তরণের ইঙ্গিত রাখেন নি, সেখানে রঙিন পর্দায় সুব্রত গুরুতর আহত সুখেনের চোখের পাতায় এঁকেছেন আশার এক অধ্যায়। তবে কোনও ক্ষেত্রেই গল্পের মূল আঁধার বদল করা হয় নি।
গোয়েন্দা কাহিনি আর প্রেমের প্যানপ্যানানির গন্ডির বাইরে পরিণত মনস্ক দর্শকের জন্য এই ছবি। সুখেন ও উঠতি মস্তানের চরিত্রে সুব্রত দত্ত ও ঋতব্রত মুখোপাধ্যায়ের প্রশংসিত অভিনয় দর্শকদের শিহরিত করবে। তাই সিনেপ্রেমীরা এই ছবির মাধ্যমে বর্তমান সময়ের প্রতিফলন পরতে পরতে উপভোগ করতে পারবেন বলে আশা করা যায়। বর্তমান সামাজিক পরিস্থিতি তুলে ধরতে সুব্রতর পরিবেশনের মুন্সিআনা অন্য মাত্রা এনে দিয়েছে এই ছবিটিতে।