বিশ্বভারতী বিতর্কে অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়ালেন কোন নোবেলজয়ী?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: প্রতীচির জমি বিতর্ককে কেন্দ্র করে উত্তাল গোটা দেশ। বিদ্বজন, সুশীল সমাজের পাশাপাশি বিশ্বের শিক্ষামহল সরব হয়েছে। নোবেল জয়ী অধ্যাপক জোসেফ স্টিগলিটজসহ ৩০০ জনেরও বেশি শিক্ষাবিদের স্বাক্ষর সমেত প্রতিবাদপত্র রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুকে পাঠানো হয়েছিল। উল্লেখ্য, রাষ্ট্রপতিও বিশ্বভারতীর পরিদর্শক। দেশের প্রবীণ অর্থনীতিবিদ ও নোবেল বিজয়ী অমর্ত্য সেনকে; পূর্বপুরুষের বাড়ি প্রতীচির জমি থেকে উচ্ছেদ করার চেষ্টার জন্য বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য রাষ্ট্রপতির কাছে আবেদন করেছিলেন তাঁরা।
কলাম্বিয়া ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক স্টিগলিটজ হলেন দ্বিতীয় নোবেল জয়ী, যিনি জমি বিতর্কে অমর্ত্য সেনের পক্ষ নিলেন। এর আগে নোবেলজয়ী জর্জ আকেরলফ জমি বিতর্কে অমর্ত্য সেনের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন। স্টিগলিটজ এবং আকেরলফ, মাইকেল স্পেন্স ২০০১ সালে অর্থনীতিতে নোবেল পেয়েছিলেন। স্টিগলিটজ ছাড়াও, প্রবীণ অর্থনীতিবিদ অমিয় কুমার বাগচী, কলকাতার ইনস্টিটিউট অফ ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের একজন ইমেরিটাস অধ্যাপক এবং অস্ট্রেলিয়ার মোনাশ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহযোগী অধ্যাপকও পিটিশনে স্বাক্ষর করেছেন।
বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় ফ্যাকাল্টি অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সুদীপ্ত ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, বুধবার দুই স্বাক্ষর যুক্ত করে পিটিশনের একটি নতুন প্রতিলিপি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ আকেরলফসহ 300 জনাধিক বেশি শিক্ষাবিদ গত মাসে রাষ্ট্রপতির কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন। তাতে নোবেলজয়ীর ক্রমাগত হয়রানির জন্য কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এবং এর ভাইস-চ্যান্সেলর বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছিল। অধ্যাপক স্টিগলিটজ এবং বাগচী প্রতিবাদে সামিল হতে চাইলে, বুধবার তাদের স্বাক্ষরসহ রাষ্ট্রপতির কাছে একটি সংশোধিত চিঠি পাঠানো হয়। উল্লেখ্য, বিশ্বভারতী চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল অমর্ত্য সেনকে প্রতীচির তেরো ডেসিমেল জমি খালি করার জন্যে উচ্ছেদ নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। তখনই তিনি বীরভূমের জেলা বিচারকের দ্বারস্থ হন। মামলার পরবর্তী শুনানি হবে শুক্রবার।