সন্ত্রাস তত্ত্ব নিষ্ফলা, কাদের ঘাড়ে হারের দায় চাপাচ্ছে সুকান্ত-শুভেন্দুরা?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভোট সন্ত্রাসের তত্ত্বে আমল দেয়নি দিল্লির গেরুয়া নেতারা। তাই হারে দায় চাপাতে নয়া কাঁধ বেছে নিল বঙ্গ বিজেপি। পরাজয়ের দায় চাপানো হচ্ছে মণ্ডল সভাপতিদের উপর, বঙ্গের গেরুয়া শিবিরের মত, নিচুতলার একাংশ তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখেছে, আর এই যোগাযোগের জেরেই ভরাডুবি হচ্ছে। ইতিমধ্যেই মণ্ডল সভাপতিদের ছেঁটে ফেলার কাজও শুরু করে দিয়েছেন বাংলার গেরুয়া নেতারা।
গেরুয়া সংগঠনের একেবারে নিচু তলার ভিত হল মণ্ডলস্তর। এরাই মাঠে, ময়দানে রাজনীতি করে। রাজনৈতিক লড়াই লড়ে পদ্মের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখে এই কর্মীরা। কিন্তু ঠান্ডা ঘরে বসা বা টিভিতে মুখ দেখানো নেতারা, নিজেদের চেয়ার বাঁচাতে মরিয়া হয়ে, সেই কর্মীদের উপরেই কোপ ফেলছেন। ঠিক হয়েছে, বাংলার ৬০ শতাংশের বেশি মণ্ডলের শীর্ষ নেতাকে সরিয়ে বর্ধিত জেলা কমিটি গড়ে, তাদের পুনর্বাসন দেওয়া হবে। প্রসঙ্গত, সাংগঠনিকভাবে রাজ্য ও জেলাস্তরের পরেই মণ্ডলস্তর। বঙ্গ বিজেপিতে এই মুহূর্তে ১৩০৭টি মণ্ডল রয়েছে। ১ আগস্টের মধ্যে প্রায় ৮০০ মণ্ডল সভাপতি বদল হবেন। ইতিমধ্যে ৩৯০ জন মণ্ডল সভাপতি পরিবর্তন করা হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে।
বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্তে ক্ষোভে ফুঁসছেন দলের একাংশ। দলের অন্দরের খবর, বিজেপির আদি নেতারা বলছেন, পঞ্চায়েত ভোটে সন্ত্রাসের অজুহাতকে পাত্তা দেয়নি কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাই গদি বাঁচাতে মরিয়া হয়ে বঙ্গ বিজেপির ক্ষমতাশীল গোষ্ঠীকে বিকল্প যুক্তি খাড়া করতে হচ্ছে। সে জন্যই মণ্ডল সভাপতিদের টার্গেট করা হচ্ছে। কেউ কেউ আবার পদ হারানো মণ্ডল সভাপতিদের বর্ধিত জেলা কমিটিতে জায়গা দেওয়ার যৌক্তিকতা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন। সেক্ষেত্রে, বঙ্গ বিজেপির যুক্তি পদ হারানো মণ্ডল সভাপতিদের দলে রাখতেই এই পন্থা নেওয়া হয়েছে। বিজেপিতে অধুনা ব্রাত্য ও বসে যাওয়া নেতাদের মতে, পরাজয়ের দায় জেলা ও রাজ্য কমিটি অস্বীকার করতে পারে না। পরাজয়ের ধাক্কায় মণ্ডলস্তরে বদল হলেও জেলা বা রাজ্য কমিটিতে কেন বদল হবে না? সে প্রশ্ন উঠতে আরম্ভ করেছে।