দিল্লিতে অভিষেকের পাশে অধীর-বিকাশ, কোন পথে রাজ্যের বাম-কংগ্রেস কর্মীরা?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মণিপুর নিয়ে তুমুল বিক্ষোভের জেরে সোমবারও সংসদের দুই কক্ষই মুলতুবি হয়ে যায়। মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর বিবৃতি দাবি তুলে সংসদের দুই কক্ষেই সরব হয় বিরোধীরা। সংসদের বাইরেও এদিন বিরোধীরা প্রধানমন্ত্রীর সংসদের উভয় কক্ষে বিবৃতির দাবিতে সরব হয়েছে। বেঙ্গালুরুতে জন্ম নেওয়া বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র ব্যানারেই বিরোধী দলের সাংসদরা এদিন বিক্ষোভ দেখায়।
এদিনের এই বিক্ষোভেই তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা গেল কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও সিপিআইএম সাংসদ বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্যকে। রাজ্যে তৃণমূলের তীব্র সমালোচক হিসাবে পরিচিত কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতা তথা প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর এবং সিপিএমের রাজ্যসভার সাংসদ বিকাশ অভিষেক, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদারদের সঙ্গে গলা মিলিয়ে স্লোগানও দিলেন।
বাংলায় যখন কংগ্রেস, সিপিআইএম লাগাতার তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে তখন দিল্লিতে একসঙ্গে বিরোধী মঞ্চে দাঁড়ানোর ঘটনা বিশেষভাবে নজর কেড়েছে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের। প্রশ্ন উঠছে তাহলে আগামী লোকসভা নির্বাচনের আগেই কি সিপিআইম, কংগ্রেস তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে আক্রমণের ঝাঁজ কমাবে? উল্লেখ্য, ২১ জুলাইয়ের সমাবেশে কংগ্রেসকে একবারও আক্রমণ করেননি মমতা। সিপিএম সম্পর্কে দু’চার কথা বললেও তুলনামূলক ভাবে মমতার সুর ছিল ‘নরম’। ফলে সিপিএম এবং কংগ্রেস শিবিরের অনেকেই মনে করছেন, অধীর-বিকাশ যেমন তৃণমূলের সঙ্গে বিরোধীদের ধর্নায় যোগ দিয়েছেন, তেমনই মমতাও কংগ্রেস এবং সিপিএম সম্পর্কে তাঁর অবস্থানে আগের চেয়ে ‘নমনীয়’ হয়েছেন। ফলে বিষয়টা ‘একতরফা’ নয়।
তবে এক্ষেত্রে বিপাকে পড়েছেন দলের নীচু তলার কর্মীরা। রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে প্রতিনিয়ত রাজনৈতিক লড়াই চালাতে হচ্ছে সিপিআইএম, কংগ্রেস কর্মীদের। তাঁদের প্রশ্ন বর্তমান এই পরিস্থিতিতে তাঁদের করনীয় কী? অনেকেই আবার বাংলার রাজনীতিতে বহু ব্যবহৃত একটি বাক্য ফের ব্যবহার করতে শুরু করেছেন- ‘দিল্লিতে দোস্তি, বাংলায় কুস্তি’।