সৃজনশীল কাজে কীভাবে প্রভাব বিস্তার করছে AI?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ক্রমেই নানান ধরণের জীবিকার বিকল্প হয়ে উঠেছে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। যে কাজ মানুষ করত, এখন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা তা দিব্য করে দিচ্ছে। ওয়েবসাইট বানিয়ে ফেলা থেকে শুরু করে খবর পড়া, জটিল অঙ্ক কষে দেখানো, এমনকী কবিতা বা গল্প লেখার মতো সৃষ্টিশীল কাজও সেরে ফেলতে ওস্তাদ এই নয়া প্রযুক্তি। এআইয়ের সৃজনশীল কাজেও এতদিন কিছুটা হলেও যান্ত্রিকতার প্রভাব ছিল। কিন্তু এখন নাকি সেই ত্রুটিও নাকি দূর করা গিয়েছে। চ্যাটজিপিটি নিয়ে এমনটাই দাবি করেছেন আমেরিকার মন্টানা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। সৃজনশীলতা পরিমাপের পরীক্ষায় চিন্তাশীল মানুষদের তালিকার প্রথম ১ শতাংশের সঙ্গে টক্কর দিয়েছে চ্যাটজিপিটি। কিছু কিছু ক্ষেত্রে মানুষকে ছাপিয়েও গিয়েছে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কেন্দ্রিক প্ল্যাটফর্ম।
মন্টানা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ অব বিজনেস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এরিক গুজিক টেস্টের ফলাফল দেখে রীতিমতো স্তম্ভিত। চ্যাটজিপিটির লেখনী যেমন চিত্তাকর্ষক, তেমনই ব্যাকরণ ও বাক্যগঠনও যথার্থ। তাঁর কথায়, সৃজনশীল কাজের ক্ষেত্রেও যে চ্যাটজিপিটি উন্নতি ঘটিয়েছে তা বোঝা যাচ্ছে। মানুষের প্রত্যাশাকেও অনেক ক্ষেত্রে ছাপিয়ে যাচ্ছে এটি।
প্রযুক্তির এমন বাড়বাড়ন্তে অনিশ্চিয়তার সিঁদুরে মেঘ দেখছেন নানা পেশায় নিযুক্ত কর্মচারীরা। এআই সৃজনশীল জগতে বহু কাজ সেরে ফেলছে। সিনেমা, গান তৈরি, অডিও বইয়ের ভাষ্যপাঠে আর মানুষের প্রয়োজন হচ্ছে না। ইতিমধ্যেই বিশ্বের প্রথম সারির সংবাদমাধ্যমগুলিতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার শুরু হয়েছে। যদিও প্রযুক্তিবিদরা এগিয়ে রাখছেন মানুষকেই। তাদের বিশ্বাস, মানুষের সৃষ্টিশীলতা সীমাহীন।