মোদী আমলে ঋণখেলাপি শিল্পপতি ও কর্পোরেটদের কত ঋণ মকুব হল?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ঋণখেলাপি শিল্পপতি ও কর্পোরেটদের ঋণ মকুব করে চলেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি। বলাবাহুল্য, মোদী সরকারের নির্দেশেই এমনটা ঘটছে। বিগত অর্থ বছরে রেকর্ড অঙ্কের ব্যাঙ্ক ঋণ মকুব করেছে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি। অঙ্কটা প্রায় ২ লক্ষ ৯ হাজার কোটি টাকা! বকেয়া ঋণ উদ্ধারের চেষ্টা ছেড়ে দিয়ে মকুব করে দেওয়া হয়েছে। ব্যাঙ্কের অনুৎপাদী সম্পদ কম করে দেখানোর উদ্দেশ্যেই এই নীতি নেওয়া হয়েছে। ঋণের টাকা ব্যাঙ্কের ঘরে ফেরত না এলে, ব্যাঙ্কের অনুৎপাদী সম্পদের পরিমাণ বাড়তে থাকে। এটি ব্যাঙ্কের পক্ষে এবং ব্র্যান্ডের ক্ষেত্রেও ক্ষতিকর। ব্যাঙ্কগুলির জন্য মোদী সরকারের অর্থমন্ত্রক ও রিজার্ভ ব্যাঙ্ক বিগত ক’বছর যাবৎ নিদান দিয়ে গিয়েছে, যত দ্রুত সম্ভব অনুৎপাদী সম্পদের বোঝা কমানোতে হবে। বকেয়া ঋণ আদায়ের আশায় বসে থাকা চলবে না। ঋণ মকুবের জন্যে সুযোগ, সুবিধা ও ছাড় দেওয়ার কথাও বলা হয়েছিল। আর সবশেষে ছিল ঋণ মকুবের নিদান। এখন সেই মকুবের পথেই হাঁটছে ব্যাঙ্কগুলি।
রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলি ২০২২-২৩ অর্থ বছরে সর্বাধিক অঙ্কের ঋণ মকুব করে দিয়েছে। গত পাঁচ বছরে মোদী সরকারের আমলে মোট ঋণমকুবের পরিমাণ ১০ লক্ষ ৫৭ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। গত পাঁচ বছরে ধরে মোদী সরকার কর্পোরেটের ঋণ মকুবের উৎসব আরম্ভ করেছে, ১০ বছরে ১৫ লক্ষ কোটি টাকার বেশি ঋণ মকুব হয়েছে। গত তিন বছরে বকেয়া ঋণ আদায় হয়েছে মাত্র ১ লক্ষ ৯ হাজার কোটি টাকা। সেখানে ঋণ মকুব করা হয়েছে, প্রায় ছয় লক্ষ কোটি টাকা। ২০২১ সালে ও ২০২২ সালে যথাক্রমে ২ লক্ষ ৩ হাজার কোটি টাকা ও ১ লক্ষ ৭৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ মকুব হয়েছে। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে তা ২ লক্ষ ৯ হাজার কোটি টাকায় দাঁড়িয়েছে।
একদিকে কর্পোরেট এবং বৃহৎ শিল্পপতিদের কোটি কোটি টাকার ঋণ মকুব হচ্ছে, অন্যদিকে ক্ষুদ্র ঋণগ্রহণকারীদের উপর চাপ বাড়াচ্ছে ব্যাঙ্ক। প্রশ্ন উঠছে এক যাত্রায় পৃথক ফল নিয়ে। তবে কি বন্ধু, কর্পোরেটদের ছাড় দিতেই মোদী সরকার এমন করছে? জোরালো হচ্ছে সে’সওয়াল।