কেন বঞ্চিত ১৫ লক্ষ পিএফ গ্রাহক? কী বলছে মোদীর শ্রমমন্ত্রক?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দেশবাসীর অ্যাকাউন্টে আসেনি ১৫ লক্ষ টাকা, সেই পনেরো লাখের স্বপ্নের মতোই প্রভিডেন্ট ফান্ডে মোদী সরকারে আত্মনির্ভরতার বাণীই সার। পিএফের তহবিলে পড়ে রয়েছে ১১০০ কোটি টাকা। প্রাপ্য টাকা থেকে বঞ্চিত প্রায় ১৫ লক্ষ পিএফ গ্রাহক, খোদ শ্রমমন্ত্রকের স্ট্যান্ডিং কমিটির রিপোর্টে এই তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে। কারণ হিসেবে জানা যাচ্ছে, যোগ্যতার মানদণ্ড মেলেনি, তাই নাকি এই ১৫ লক্ষ গ্রাহক বঞ্চিত।
করোনাকালে আত্মনির্ভর ভারত রোজগার যোজনা প্রকল্প নিয়েছিল মোদী সরকার। এই প্রকল্পে করোনা পরবর্তী সময়ে কাউকে চাকরি দিলে, পরবর্তী দু’বছর বা ২৪ মাসের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্মী ও কর্মদাতা সংস্থার প্রভিডেন্ট ফান্ডে প্রদেয় অর্থের পুরোটাই দেবে মোদী সরকার। প্রধান শর্ত ছিল, সর্বাধিক ১৫০০০ টাকা বেতন (প্রতি মাসে) এবং ১০০০ জনের কম কর্মী রয়েছে এমন সংস্থাই এই সুযোগ পাবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, বরাদ্দকৃত অর্থ থেকে গত অর্থ বছরে ১ হাজার ১২২ কোটি টাকার বেশি খরচই করতে পারেনি মোদী সরকার। প্রায় ১৫ লক্ষ কর্মী আবেদন করেও পিএফ সংক্রান্ত এই আর্থিক সুবিধা পাননি।
ছোট শিল্পক্ষেত্রে চাকরি করেন, এমন কর্মীদের সামাজিক সুরক্ষা খাতে কর্মদাতাদের মোটা অঙ্কের টাকা খরচ করতে হয়। তার অন্যতম হল পিএফ। নিয়ম রয়েছে, কর্মীর মূল বেতনের ১২ শতাংশ পিএফ বাবদ কেটে নেওয়া হবে এবং নিয়োগকর্তাও সমপরিমাণ টাকা জমা করবে। মোদী সরকার ঘোষণা করে, সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা বেতনে যাঁরা নতুন চাকরি পাবেন, তাঁদের জন্য টানা দু-বছর পিএফের টাকা সরকারই জমা দেবে। ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ওই স্কিম চালু ছিল। ফলে সেই সময়ের মধ্যে যাঁরা আবেদন করেছেন, পরবর্তী দু’বছরের জন্য তাঁদের আর্থিক সুবিধা পাওয়ার কথা। তবে একগুচ্ছ শর্ত আরোপ করেছিল মোদী সরকার। যার জেরে বহু সংস্থা চাইলেও, সুযোগের সদ্ব্যবহার করতে পারেনি।
২০২২-২৩ অর্থ বর্ষে এই প্রকল্পের খাতে ৬ হাজার ৪০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। তারপর তা কমিয়ে বাজেটে ৫ হাজার ৭৫৮ কোটি টাকায় নামিয়ে আনা হয়। চলতি বছরের মার্চ পর্যন্ত খরচ করা হয়েছে ৪ হাজার ৬৩৬ কোটি টাকা। জানা গিয়েছে, এই প্রকল্পের আওতায় ১৪ লক্ষ ৯০ হাজার কর্মী আবেদন করেও আর্থিক সুবিধা পাননি। এই বিষয়ে শ্রমমন্ত্রকের কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হলেও, মোদীর শ্রমমন্ত্রক কোনও কিছুই জানায়নি বলে সংসদীয় কমিটির রিপোর্টে জানানো হয়েছে।