মোদীর আয়ুষ্মান ভারতের সুবিধা পান আসলে কত মানুষ? কেন তথ্যের ভাঁওতা কেন্দ্রের?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর স্বপ্নের প্রকল্প আয়ুষ্মান ভারত। যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী দেশ-বিদেশে আত্মপ্রচার করে থাকেন। কিন্তু বাস্তবে আয়ুষ্মান ভারত প্রকল্প থেকে কত মানুষ উপকৃত হচ্ছেন? ১৪০ কোটি ভারতবাসীর মধ্যে মাত্র ৫৫ কোটি মানুষ এই প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন। সরকারের তরফ থেকেই সংসদে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে। যেখানে বাংলায় স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পেই প্রায় ৭ কোটি মানুষের বিনামূল্যে চিকিৎসা হয়।
অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, ‘আয়ুষ্মান ভারত-প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা’র সঙ্গে ১২ কোটি পরিবার যুক্ত। তার মধ্যে গ্রামীণ পরিবার ৮ কোটি ১৯ লক্ষ। অথচ ডিএমকে সাংসদের প্রশ্ন ছিল, দেশের মাত্র ১৪.১ শতাংশ গ্রামীণ পরিবার কি এই প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপ্ত? সেই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু সরাসরি দেয়নি কেন্দ্র। উল্টে একটি রাজ্যওয়াড়ি হিসেব খাড়া করেছে মন্ত্রক। তাতেই উল্লেখ করা হয়েছে বাংলার ১ কোটি ২৪ লক্ষ ৩৭ হাজার পরিবারের তথ্য। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যই এই পরিসংখ্যানের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তালিকার নীচে অবশ্য ছোট করে উল্লেখ করা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং দিল্লি এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত নয়। তাহলে কেন তাদের তথ্য এই পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হল? শুধুমাত্র মোট সুবিধাপ্রাপকের সংখ্যা বাড়িয়ে দেখানোর জন্য? এই তিন রাজ্যকে বাদ দিলে আয়ুষ্মান ভারতের সঙ্গে যুক্ত পরিবারের সংখ্যা কিন্তু নেমে যায় ১০ কোটি ১ লক্ষ ২৮ হাজার ১৬৯’এ। অর্থাৎ ভারতের মোট জনসংখ্যার মাত্র ৭ শতাংশের খানিক বেশি। অথচ এই প্রচার যে মারাত্মক ভুল, তা কেন্দ্রীয় সরকার বিলক্ষণ জানে। তাই সংসদে লিখিত জবাবে ‘সত্য’ রক্ষার তাগিদে সুবিধাপ্রাপকের তালিকায় ফুটনোট দিতে হচ্ছে।
ভারত সরকারের শুধু তথ্যের মারপ্যাঁচকে বিরোধীরা স্রেফ ভাঁওতা বলে তোপ দাগছে। আর সাধারণ মানুষের কাছে কেন্দ্রীয় বিমা নিয়েই তৈরি হয়েছে বিভ্রান্তি।
অর্থমন্ত্রক জানিয়েছে, ‘আয়ুষ্মান ভারত-প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য যোজনা’র সঙ্গে ১২ কোটি পরিবার যুক্ত। তার মধ্যে গ্রামীণ পরিবার ৮ কোটি ১৯ লক্ষ। অথচ ডিএমকে সাংসদের প্রশ্ন ছিল, দেশের মাত্র ১৪.১ শতাংশ গ্রামীণ পরিবার কি এই প্রকল্পের সুবিধাপ্রাপ্ত? সেই প্রশ্নের উত্তর কিন্তু সরাসরি দেয়নি কেন্দ্র। উল্টে একটি রাজ্যওয়াড়ি হিসেব খাড়া করেছে মন্ত্রক। তাতেই উল্লেখ করা হয়েছে বাংলার ১ কোটি ২৪ লক্ষ ৩৭ হাজার পরিবারের তথ্য। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যই এই পরিসংখ্যানের নিরিখে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। তালিকার নীচে অবশ্য ছোট করে উল্লেখ করা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা এবং দিল্লি এই প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত নয়। তাহলে কেন তাদের তথ্য এই পরিসংখ্যানে উল্লেখ করা হল? শুধুমাত্র মোট সুবিধাপ্রাপকের সংখ্যা বাড়িয়ে দেখানোর জন্য?