হিংসাদীর্ণ মণিপুরে INDIA-র প্রতিনিধিদের কাছে কী আর্তি জানাল নিগৃহীতার মা?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: হিংসাদীর্ণ মণিপুরে দুই মহিলাকে নগ্ন করে রাস্তায় নিয়ে যাওয়া ও পরে তাঁদের গণধর্ষণের ভয়ঙ্কর ভিডিও সামনে আহতেই প্রতিবাদে উত্তাল গোটা দেশ। এই ঘটনায় তোলপাড় হয়েছে সংসদও। এই পরিস্থিতিতে ‘টিম ইন্ডিয়া’-র ২১ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল এবার মণিপুরে নিগৃহীতার পরিবারগুলির সাথে দেখা করলেন। জানা গিয়েছে, গণধর্ষণের শিকার মহিলার মা বিরোধী জোটের প্রতিনিধিদের কাছে কাঁদতে কাঁদত আর্তি জানিয়েছেন যে, স্বামী ও ছেলের মৃতদেহ দেখতে চান, যাঁদের সেদিনই খুন করা হয়েছিল।
আক্রান্তদের সঙ্গে দেখা করার পর সে রাজ্যের BJP সরকার এবং মোদী সরকারের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন ‘ইন্ডিয়া’ জোটের সদস্যরা। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ সুস্মিতা দেব, ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝি যখন এক নির্যাতিতার মায়ের সঙ্গে দেখা করেছিলেন, তখন তাঁদের কাছে নিগৃহীতার মা বারে বারে আবেদন করেছেন, শেষবারের জন্য তাঁর ছেলে এবং স্বামীর মৃতদেহ দেখতে তাঁকে সাহায্য করুন। সেই মহিলা আরও জানিয়েছেন, মণিপুরে এমন পরিস্থিতি যে, ভবিষ্যতে আর কখনও কুকি এবং মেইতেই সম্প্রদায়ের মানুষ আর একসঙ্গে থাকতে পারবে না।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সুস্মিতা দেব বলেছেন,“মেয়েটি এখন পুলিশকে ভয় পায়। এভাবে যদি কোনও নির্যাতিতা পুলিশকে দেখেও আতঙ্কে থাকে আর তাঁদের বিশ্বাস না করে, তাহলে বুঝতে হবে যে সেটা সাংবিধানিক সংকট।” এরপর তৃণমূল সাংসদের সংযোজন, “ওই মহিলার মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছিল এবং তাঁর স্বামী ও ছেলেকে ওই একইদিনে খুন করা হয়েছিল। কিন্তু এই ঘটনায় আজ অবধি একজন পুলিশের বিরুদ্ধেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি।” তিনি আরও বলেন যে, “এই ঘটনায় তাঁরা এখনও ভয়ে আছে। আতঙ্কে ভুগছে। ওঁরা বলেন যে, ৪ মে ওই ঘটনার সময় সেখানে ১০০০ জনেরও বেশি লোকের ভিড় ছিল। মেয়েটি অভিযোগ করেছে যে, তাঁকে পুলিশের সামনেই ধর্ষণ করা হয়েছিল, কিন্তু পুলিশ সাহায্য করার কোনও চেষ্টাই করেনি। আমি এই গোটা বিষয়টি গভর্নরের কাছে উত্থাপন করব।”
ডিএমকে সাংসদ কানিমোঝি বলেন, “ধর্ষিতার বাবা একসময় সেনাবাহিনীতে চাকরি করেছেন এবং দেশকে রক্ষা করেছেন। কিন্তু শেষে নিজের পরিবারকেই আর রক্ষা করতে পারেননি। এমনকী তাঁকেও খুন হতে হয়েছে। এই মহিলাকে দেখে খুবই খারাপ লাগছে। এঁর মেয়েকে ধর্ষণ করা হয়েছে এবং একইদিনে তাঁর স্বামী এবং ছেলেকে খুনও করা হয়েছে। কিন্তু মাঝে এতমাস কেটে গেলেও তিনি কোনও বিচার পাননি।”