সিবিআই তদন্তের উপর আস্থা নেই মণিপুরের দুই নির্যাতিতার, আদালতের পর্যবেক্ষণে তদন্তের আর্জি
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: মণিপুরের রাস্তায় নগ্ন করে দুই মহিলাকে ঘোরানো ও গণধর্ষণ করার ঘটনা গোটা দেশে আলোড়ন ফেলে দিয়েছে। এবার দুই নির্যাতিতা বিচারের আশায় ছুটলেন সুপ্রিম কোর্টে। শীর্ষ আদালতে কেন্দ্র সরকার ও মণিপুর সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করলেন তাঁরা।
দুই নির্যাতিতা জানিয়েছে, সিবিআই তদন্তের উপর তাঁদের কোনও আস্থা নেই। উল্টে আদালতের পর্যবেক্ষণে বিশেষ তদন্তকারী দল গড়ে ওই ঘটনার তদন্ত করার আর্জি জানিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের আবেদন, অসমের পরিবর্তে অন্য কোনও রাজ্যে গিয়ে এই ঘটনার তদন্ত হোক। সোমবার প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের এজলাসে মামলার শুনানি শুরু হয়। প্রথমেই নির্যাতিতাদের হয়ে সওয়াল করতে গিয়ে আইনজীবী কপিল সিব্বল বলেন, ভাইরাল ভিডিওর ঘটনার তদন্তভার সিবিআইয়ের হাতে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। গোটা ঘটনার তদন্ত মণিপুরের পরিবর্তে অসমে করতে চাইছে তাঁরা। কিন্তু সেটা চান না নির্যাতিতারা। সিব্বল বলেন, পুলিশের উপস্থিতিতেই হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। কোনও নিরপেক্ষ সংস্থারই সেই ঘটনার তদন্ত করা উচিত। যদিও কেন্দ্রের তরফে বলা হয়েছে, অসমে তদন্ত করার কথা বলা হয়নি তাদের তরফে। মণিপুরের বাইরে যেকোনও রাজ্যেই তদন্ত হতে পারে।
অন্যদিকে এই মামলার শুনানিতেই এক আইনজীবী পশ্চিমবঙ্গ এবং রাজস্থানের নারী নির্যাতনের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেন। কিন্তু মণিপুরের ঘটনার চরিত্র আলাদা বলে মন্তব্য করেন প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়।
সোমবারের শুনানিতে প্রধান বিচারপতি তাঁর পর্যবেক্ষণে জানান, মণিপুরের যৌন নিগ্রহের ঘটনার ওটাই একমাত্র উদাহরণ নয়। এই প্রসঙ্গে তিনি স্বরাষ্ট্র সচিবের তরফে পেশ করা হলফনামার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, “ওই হলফনামাই বলছে, এই ধরনের বহু ঘটনা সে রাজ্যে ঘটেছে।” অ্যাটর্নি জেনারেলের কাছে তিনি জানতে চান, গত ৩ মে সে রাজ্যে হিংসা ছ়ড়িয়ে পড়ার পর নারী নির্যাতনের কতগুলি অভিযোগ নথিবদ্ধ হয়েছে।