ডেঙ্গি চিকিৎসায় বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর, কী বললেন তিনি?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: রাজ্যে ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ডেঙ্গি চিকিৎসায় বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে কড়া বার্তা দিলেন তিনি। রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেন তিনি। বেসরকারি হাসপাতালগুলি রোগীদের স্বাস্থ্যসাথী কার্ড প্রত্যাখ্যান করা দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল। ফের এ বিষয়ে আজ মুখ খুলেছেন তিনি।
সোমবার বিধানসভায় প্রশ্নোত্তর পর্বে রাজ্যের ডেঙ্গি পরিস্থিতি নিয়েও মুখ খুলেছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ার, রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলি স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণ না-করলে বাতিল করা হবে তাদের লাইসেন্স। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ড গ্রহণ করতে হবে রাজ্যের বেসরকারি হাসপাতালগুলিকে। পাশাপাশি, বিধাননগরের মতো ঝকঝকে শহুরে এলাকায় ডেঙ্গির প্রকোপ নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গির কারণে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৮৯৭ জন। ডেঙ্গি ঠেকাতে দফায় দফায় প্রশাসন পর্যালোচনা চালাচ্ছে বলেও জানিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘বিধাননগরের মেট্রোর কাজের জন্য খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। তাই সেখানে জল জমে ডেঙ্গি বেশি হচ্ছে।’’ এর জন্য পুরসভাগুলিকেও ডেঙ্গি প্রতিরোধে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৩০ ডিসেম্বর স্বাস্থ্যসাথী প্রকল্পের চালু করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যবাসীকে নিখরচায় স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়াই ছিল এর উদ্দেশ্য। কিন্তু স্বাস্থ্যসাথীর কার্ডে চিকিৎসা পরিষেবা পেতে প্রায়শই বেসরকারি হাসপাতালে ভোগান্তির মুখে পড়তে হয় বলে অভিযোগ রোগীর পরিজনদের। এই সমস্যার সমাধান করতে চলতি বছরের মার্চ মাসে ‘প্রোজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিট’ (পিএমইউ) গড়ার কথাও ঘোষণা করেছিল রাজ্য সরকার। পিএমইউ গঠন হলে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফিরিয়ে দেওয়া নিয়ে অভিযুক্ত হাসপাতালের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারবে সরকার। কোনও হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না-নেওয়া হলে তা কেন নেওয়া হচ্ছে না, তা-ও জানতে চাইবে এই পিএমউই। অনলাইন এবং অফলাইনে নিজেদের অভিযোগ জানাতে পারবেন রাজ্যের সাধারণ মানুষ। জানা গেছে, ইতিমধ্যেই তা নিয়ে কাজ অনেকখানি এগিয়েছে সরকার।