ইভিএমের সঙ্গে VVPAT গরমিল প্রশ্ন, ৪ বছরেও নিরুত্তর মোদী সরকার, রহস্যটা কী?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ইভিএম কারচুপি নিয়ে একাধিক অভিযোগ বিরোধীদের৷ কিন্তু সেভাবে আমল দেয় নি নির্বাচন কমিশন থেকে কেন্দ্রীয় সরকার। ইভিএম এবং VVPAT-এর মধ্যে গরমিল আছে কি না, তা নিয়ে নিরব মোদী সরকার। বারবার জবাব এড়িয়ে যাচ্ছেন নির্বাচন কমিশনও। অথচ সংসদে কেন্দ্র ‘আশ্বাস’ দিয়েছিল, তথ্য সংগ্রহ করে যথা সময়ে তা জানাবে। কিন্তু ৪ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও অধরাই থেকে গেছে সেই জবাব।
২০১৯ সালের ২৬ জুন লোকসভায় তৃণমূল সাংসদ প্রসূণ বন্দ্যোপাধ্যায় আইনমন্ত্রকের কাছে জানতে চেয়েছিলেন, সদ্য শেষ হওয়া লোকসভা ভোটে দেশের কোনও কেন্দ্রে কি ইভিএম এবং VVPAT-এর মধ্যে গরমিলের ঘটনা ঘটেছে? তৎকালীন আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ উত্তরে জানিয়েছিলেন, তথ্য সংগ্রহ করে লোকসভায় জানাব।
এছাড়াও কমিশনের কাছে ইভিএমের সঙ্গে VVPAT গরমিলের বিষয়টি স্পষ্ট করতে বলা হয় ২০২০ সালের ১২ মার্চ,
২০২০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২১ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি, ৭ অক্টোবর এবং ২৬ নভেম্বর, ২০২২ সালের ৩ জুন কিন্তু জবাব মেলেনি। তাই সরকার এবং কমিশনের বিরুদ্ধে সংসদের অ্যাসিওরেন্স কমিটি রিপোর্ট পেশ করেছে বলেছে, ইভিএম এবং VVPAT-এর মধ্যে গরমিলের অভিযোগের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। অথচ ২০১৯ সালে মোদী সরকার সংসদে যে আশ্বাস দিয়েছিল, তা বাস্তবে পূরণ করেনি। সরকারের দায়িত্ব মানুষের মনে সন্দেহ দূর করা। সামান্য একটা তথ্য জানাতে ৪ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেল।
কেন আশ্বাস পূরণ করা হয়নি? জানতে চেয়েছে সংসদের ‘অ্যাসিওরেন্স কমিটি’।আর মোদী সরকারের এই গাছাড়া মনোভাব মেনে নেওয়া যায় না বলেও জানিয়েছে সংসদীয় কমিটি। এই কমিটির চেয়ারম্যান আবার বিজেপির সাংসদ রাজেন্দ্র আগরওয়াল। সরকার এবং নির্বাচন কমিশনকে তুলোধোনা করেছে কমিটি। অন্যদিকে কেন্দ্রের আইন মন্ত্রক নিজের দায় এড়ানোর জন্য বিষয়টিকে নির্বাচন কমিশনের ঘাড়ে চাপানোর চেষ্টা করেছে। সংসদীয় কমিটিকে জানানো হয়েছে, নির্বাচন কমিশনকে ৬ বার তথ্য দিতে বলা হলেও তারা দেয়নি। গোটা চাপানোতরে প্রশ্নের মুখেই রয়ে গেছে ইভিএম ভোটের ‘স্বচ্ছতা’। ফলে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে ইভিএমের সঙ্গে ভিভিপ্যাটের গরমিল সংক্রান্ত ২০১৯ সালে তোলা তৃণমূল সাংসদদের প্রশ্নের জবাব এখনও কেন দিচ্ছে না মোদী সরকার?