বিবিধ বিভাগে ফিরে যান

গণেশ উৎসবের মাধ্যমে স্বরাজ স্থাপন করতে চেয়েছিলেন বাল গঙ্গাধর তিলক 

August 1, 2023 | < 1 min read

মহারাষ্ট্রে গণেশ মহোৎসব বৃহত্তম উৎসব। প্রতিবছর আগস্ট মাসের শেষে বা সেপ্টেম্বরের শুরুতে এই উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। দশদিন ধরে মহারাষ্ট্রে এই উৎসব চলে। মহারাষ্ট্রে এই উৎসব শুরুতে ছিল পারিবারিক গণ্ডীতে সীমাবদ্ধ এক ক্ষুদ্র অনুষ্ঠান। 

১৮৯৩ সালে লোকমান্য বাল গঙ্গাধর তিলক এই উৎসবকে মহারাষ্ট্রের এক জাতীয় উৎসবে পরিণত করেন। তাঁর উদ্দেশ্য ছিল হিন্দুধর্মের জাতিভেদের সংকীর্ণতা দূর করে ব্রিটিশ বিরোধী জাতীয় আন্দোলনকে সুসংবদ্ধ ও সংগঠিত করা। তিলকই প্রথম বারোয়ারি মণ্ডপে গণেশ প্রতিমা স্থাপন করেন ও দশদিন বাদে গণেশ বিসর্জনের প্রথার সূচনা করেন। 

সমাজসংস্কারমূলক কাজেও তাঁর মহৎ ভূমিকা ছিল। তিনি বাল্যবিবাহের ঘোরতর বিরোধী ছিলেন এবং বিধবা বিবাহের পক্ষে ছিলেন। গণপতি উৎসব এবং শিবাজীর জন্মোৎসব পালনের মাধ্যমে তিনি সাধারণ মানুষকে একত্র করতে চেয়েছিলেন। 

১৮৯৮ সালে থেকে বালগঙ্গাধর তিলক স্বদেশী আন্দোলন শুরু করেন। সংবাদপত্র এবং বক্তৃতার মাধ্যমে মহারাষ্ট্রের গ্রামে গ্রামে স্বদেশী আন্দোলনকে জোরদার করে তোলেন। তাঁর বাড়ির সামনে স্বদেশী জিনিসের বাজারও খোলা হয়।

একসময় ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দ্বিধাবিভক্ত হয়ে যায় – নরমপন্থী এবং চরমপন্থী এই দুই মতবাদে। চরমপন্থীদের নেতৃত্ব দেন বাল গঙ্গাধর তিলক। তিলক কংগ্রেসের নরমপন্থী ও চরমপন্থী মতবাদকে একত্রীত করার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু তিনি সফল হননি। অবশেষে একটি পৃথক সংগঠন স্থাপন করেন – ‘হোমরুল লীগ’। এর উদ্দেশ্য ছিল স্বরাজ।

বালগঙ্গাধর তিলক গ্রামে গ্রামে ঘুরে স্বরাজের অর্থ আপামর ভারতবাসীর মনে গেঁথে দিতে চেয়েছিলেন। ভারতের স্বাধীনতা আন্দোলনে শরিক করতে চেয়েছিলেন সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে। আজও মহারাষ্ট্রের লোকজন পরম শ্রদ্ধার সঙ্গে তিলকের প্রদর্শিত পথে গণেশ উৎসব পালন করে আসছেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Bal Gangadhar Tilak, #Ganesh Puja

আরো দেখুন