বালুরঘাটের ঐতিহ্যবাহী সিংহবাহিনী মন্দির ও জমিদার বাড়ির ইতিহাস
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ইতিহাসের আঁতুরঘর হিসেবে পরিচিত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা। মূলত জেলাকে ঘিরে রয়েছে একাধিক পুরাতাত্ত্বিক নিদর্শন ও মন্দির। তেমনই একটি মন্দির হল সিংহবাহিনী মন্দির। এই জেলার বালুরঘাটের খাঁপুরের এই মন্দিরটি খুব বিখ্যাত।
শোনা যায়, বালুরঘাটের খাঁপুর গ্রামের সিংহ রায় জমিদার সিংহবাহিনী মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেন। পাল-সেন আমলে পোঁড়া ইট দিয়ে মন্দিরটি নির্মিত। মন্দিরটি প্রায় ২০ ফুট লম্বা,১৫ ফুট চওরা ও উচ্চতা ৩০ ফুট। মন্দিরের প্রবেশ দ্বার ৩ ফুট চওরা, উচ্চতা ৭ ফুট, উপরে গম্বুজ ছিল দেখে মনে হয়। মন্দির গাত্রে দেখা যায় টেরাকোটার কাজ।
প্রাচীন এই সিংহবাহিনী মন্দিরটি প্রায় ৭০০ বছরের পুরাতন। এই মন্দির ও জমিদার বাড়ির সাথে রয়েছে প্রাচীন বন্ধন। একসময় খুব জাঁকজমকপূর্ণ ভাবে অনুষ্ঠান হত। বর্তমানে ধ্বংসের মুখে বালুরঘাটের এই ঐতিহ্যবাহী মন্দিরটি। মন্দিরের চারিদিকে ইটের প্রাচীর ছিল।
কালের নিয়মে মন্দিরটি ধ্বংসের মুখে। রয়েছে এখানে রায়চৌধুরী জমিদারের কাছারি বাড়ি মন্দিরের পাশে জমিদারের বর্তমান বংশধররা একটি নতুন কংক্রিট মন্দির স্থাপন করে দুর্গা পূজা করে আসছে। এই মন্দিরে পাশে শিবলিঙ্গ ও পাথরের অন্যান্য মূর্তি রয়েছে। সিংহবাহিনী মন্দিরটি রাজ্য হেরিটেজ কমিশন ডকুমেন্টেশন করেছে।
সিংহপরিবার ১৯৫১ সাল থেকে নতুন মন্দিরে আজও মন্দিরে দু’বেলা ভোগ হয়। সন্ধ্যায় নিয়মিত চন্ডী পাঠ হয়। স্থানীয় মানুষের কাছে সিংহবাহিনী বা দুর্গা মা ছিল পবিত্র ও জাগ্রত। ভক্তরা বাড়ির প্রথম ফল ও দুধ মাকে উপহার দেন।