অবশেষে! INDIA-র অনাস্থা প্রস্তাবে আলোচনা ৮ আগষ্ট, প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ ১০ তারিখে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বাদল অধিবেশনের শুরু থেকেই মণিপুর নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে সরব বিরোধীরা। মণিপুরের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় বাধ্য করাতে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’ সংসদের নিম্নকক্ষ লোকসভায় সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনে। কিন্তু কবে তার উপর আলোচনা হবে তা অবশেষে স্থির হয়েছে।
আগামী ৮ আগষ্ট আলোচনা হবে সংসদে। ১০ আগষ্ট জবাবি ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
লোকসভায় শাসকদল এনডিএ-র হাতে রয়েছে ৩৩১ জন সাংসদ। বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র সমর্থনে রয়েছেন ১৪৪ জন। ফলে সংখ্যার হিসাবে এই অনাস্থায় বিরোধীদের হারই হবে। অর্থাৎ, সরকার পড়বে না। তবুও অনাস্থা এনে লোকসভা নির্বাচনের আগে মোদী সরকারকে চাপে রাখতে চাইছে বিরোধীরা, এমনটাই মনে করা হচ্ছে। বিরোধীদের লক্ষ্য, মণিপুর নিয়ে যাতে সংসদে মুখ খুলুন প্রধানমন্ত্রী, সেই কৌশলেই এই অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছে।
গত তিন মাস ধরে গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত মণিপুর। সম্প্রতি মণিপুরে দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে ঘোরানো এবং গণধর্ষণের অভিযোগের কথা প্রকাশ্যে এসেছে। একটি ভিডিয়োও প্রকাশ্যে এসেছে সমাজমাধ্যমে। এই ঘটনাকে ঘিরে নতুন করে উত্তাপ তৈরি হয়েছে জাতীয় রাজনীতিতে। মণিপুরের ঘটনায় প্রধানমন্ত্রীর বিবৃতির দাবিতে সরব বিরোধীদের ধারাবাহিক বিক্ষোভে কার্যত অচল হয়ে পড়ছে সংসদের বাদল অধিবেশন।
সোমবার সংসদ কক্ষের বাইরে সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বলেন, ‘INDIA জোটের দলগুলি সংসদে মণিপুর নিয়ে আলোচনা চাইছে। এই খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেন সংসদে আসতে পারবেন না প্রধানমন্ত্রী। আমরা সবাই মণিপুর নিয়ে আলোচনা করতে প্রস্তুত। পণ্ডিত নেহেরু রাজ্যসভায় এসে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বক্তব্য রেখেছেন এবং বিতর্কে অংশ নিয়েছিলেন। অটল বিহারী বাজপেয়ী এসে রাজ্যসভায় আলোচনা করেছেন। ডঃ মনমোহন সিংও আলোচনায় অংশগ্রহণ করেছিলেন এবং এমনকি রাজীব গান্ধী এসে রাজ্যসভায় বোফর্স নিয়ে আলোচনা করেছিলেন। আমরা মণিপুর নিয়ে দুই ঘণ্টার আলোচনা চাই না। আমরা একটি পূর্ণাঙ্গ আলোচনা চাই’।
অবশেষে বিরোধীদের চাপে প্রধানমন্ত্রী মোদী মণিপুর নিয়ে ১০ আগষ্ট মুখ খুলতে চলেছেন সংসদে। পাশাপাশি ৮ আগষ্ট অনাস্থা প্রস্তাবের উপরও পূর্ণাঙ্গ আলোচনা হবে সংসদে।