বিবিধ বিভাগে ফিরে যান

জেনে নিন বাংলার প্রাচীন ভাইওর মায়ের থানের মাহাত্ম্যের ইতিহাস

August 3, 2023 | < 1 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: খ্রিষ্টীয় একাদশ শতকে ভাইওর ঘাটুলে ১৬ হাত বিশিষ্ট ভৈরবী মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হয়। স্থানীয়দের কাছে এটি মায়ের থান নামেই পরিচিত। এছাড়াও অনেকে বসন্তী মাতা বা ঘন্টেশ্বরী মাতা নামেও ডাকেষ। মূর্তিটি কালী নাকি দুর্গার প্রতিমূর্তি তা নিয়ে সংশয় আছে। অনেকের মতে এটি ১৬ হাতের দেবীদুর্গা হতে পারে।

এই দেবী মূর্তিটি তিনটি খণ্ডে খণ্ডিত। দেবীর পদতলে শায়িত মূর্তিটি শিব নাকি অসুর তা জানা না গেলেও এটি দেবী দুর্গা রূপেই পুজা হয়। বৈশাখ মাস থেকে শ্রাবণ মাস পর্যন্ত প্রতি শনি ও মঙ্গলবার পূজিত হন দেবী।

জ্যৈষ্ঠ মাসের কুড়ি তারিখের পর প্রথম মঙ্গলবার বাৎসরিক বড় পুজা ও মেলা হয়। দূর-দূরান্ত থেকে হাজার হাজার ভক্তের সমাগম ঘটে এখানে। জানা গেছে, বড় পূজার দিন ৬০০র বেশি মানত করা পাঠাবলি হয় । পূর্বে মহিষ বলি প্রথা প্রচলন ছিল।

শোনা যায়, আগে মায়ের কোন‌ও মন্দির ছিল না, উঁচু ঢিবির মধ্যে টিনের ছাউনির তলে মায়ের পুজো হত । কিন্তু বর্তমানে মন্দির নির্মাণ করা হয়েছে । মন্দিরের আশেপাশে পাথর ও ইটের ধ্বংসাবশেষ দেখে অনুমান করা যায় বহু প্রাচীন এই মন্দির। কথিত আছে, পঞ্চদশ শতকের শেষার্ধে ধর্মান্তরিত কালাপাহাড় দ্বারা মন্দির ও মূর্তি ভাঙা হয়েছিল। আবার ত্রয়োদশ শতকের প্রথমে তুর্কি বীর বক্তিয়ার খলজি মন্দিরটি ধ্বংস করেছেন বলেও শোনা যায়।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#West Bengal, #bhaio Maayer than

আরো দেখুন