← পেটপুজো বিভাগে ফিরে যান
মাছের ঝোল নিয়ে গেলেই খুব সহজেই পাওয়া যেত কিশোর কুমারের ডেট
কিশোর কুমার কখনও মদ্যপান করতেন না। বাড়িতে নেমতন্ন করলে বা পার্টি দিলে, তাতে মদ্যপানের আয়োজন থাকত না। থাকত বাঙালি খাবার। লুচি, বেগুনভাজা, আলুর দম। আর নিজে কোথাও খেতে গেলে, আগে থেকেই বলে দিতেন মাছের একাধিক পদ করে রাখতে।
কলকাতা থেকে বম্বে ফেরার সময় শচীনদেব বর্মন, শক্তি সামন্তরা কিশোর কুমারের জন্য নিয়ে যেতেন ইলিশ মাছ। বহু পরিচালক–প্রযোজকই জানতেন কিশোরকুমারের এই মাছ–প্রীতির কথা। কোন পরিচালক ডেট না পেলে, মাছের ঝোল নিয়ে গেলেই কেল্লা ফতে!
দুটো খাবারের ব্যাপারে সাবধানে থাকতেন কিশোর। এক ‘বিরিয়ানি’। রেকর্ডিং থাকলে তার এক–দু’দিন আগে থেকে বিরিয়ানি খাওয়া বন্ধ রাখতেন। বলতেন, ঘি আর মুরগির মাংস খেলে গলা জড়িয়ে যাবে। স্বরগুলো ঠিক খেলবে না। দুই, ‘শিঙাড়া’। হার্ট অ্যাটাকের পর থেকে এই নিরীহ খাবারটি নিয়ে আতঙ্কে ভুগতেন কিশোর।