দেশ বিভাগে ফিরে যান

মণিপুরের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পরিববর্তে আরও খারাপ হচ্ছে!

August 5, 2023 | 2 min read

ছবি সৌজন্যে: PTI

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: কবে শান্ত হবে মণিপুর? সেটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। বৃহস্পতিবার থেকে ফের রাজ্যের একাধিক এলাকা থেকে সংঘর্ষের খবর মিলছে। শনিবার ভোর রাতে উগ্র জনতার হামলায় তিনজন নিহত হয়েছেন। মৃতদের দু’জন সম্পর্কে বাবা ও ছেলে। তৃতীয়জন গ্রামরক্ষী। বিষ্ণুপুর জেলার কোয়াকতায় ভোর থেকে সকাল পর্যন্ত গুলির লড়াই চলে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন নিরাপত্তা রক্ষী আহত হন। যৌথবাহিনীর গুলিতে হামলাকারীদের কেউ নিহত, আহত হয়েছে কিনা জানা সম্ভব হয়নি। জায়গাটি ঘন জঙ্গলে ঢাকা।

মণিপুরের বিজেপি বিধায়ক আর কে ইমো সিং (যিনি মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং-এর জামাতাও) কেন্দ্রীয় সরকারের উদ্দেশ্যে বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারকে আরও সক্রিয় পদক্ষেপ নিতে হবে”। শনিবারে তিনজনের হত্যাকাণ্ডের পর আধাসামরিক বাহিনীর ভূমিকা নিয়েও তিনি প্রশ্ন তোলেন। ইমো সিং বলেন, ‘নিরাপত্তা ও আধাসামরিক বাহিনীকে জবাব দিতে হবে কিভাবে এমন ঘটনা ঘটছে? অবিলম্বে এই বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে,। কর্তব্যে গাফিলতির জন্য তাদের বরখাস্ত করতে হবে।’

রাজধানী ইম্ফলে উত্তেজিত জনতার বিক্ষোভের মুখে পড়ে মৃত্যু হয়েছে এক পুলিশকর্মীর। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও দুই পুলিশকর্মী। জানা গিয়েছে, কেইরেনফাবি ও থাংগালাভাইয়ের পুলিশচৌকিতে হামলা চালিয়ে সমস্ত অস্ত্রভাণ্ডার লুট করেছে উত্তেজিত জনতা। হেইংগাং ও সিংজামেই এলাকাতেও অস্ত্র লুটের চেষ্টা হয়, তবে শেষ পর্যন্ত অস্ত্র লুট করতে পারেনি জনতা।

রাজ্য পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার পুরুষ এবং মহিলাদের একটি বিশাল দল বিষ্ণুপুরের একাধিক পুলিশ চৌকিতে হামলা চালায়। শুধু হামলাই নয়, পুলিশ চৌকি থেকে বহু অস্ত্র লুট করে তারা। এক পুলিশ আধিকারিক জানিয়েছেন, আচমকাই একদল মহিলা এবং পুরুষ কিরেনফাবি এবং থাঙ্গালাওয়াই পুলিশ চৌকিতে ঢুকে পড়েন। তার পর হামলা চালান। পাল্টা পুলিশও সেই হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করে। ফলে দু’পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।

শুধু কিরেনফাবি এবং থাঙ্গালাওয়াই পুলিশ চৌকিই নয়, হেইনগাং সিংজামেই থানাতেও হামলা চালানোর চেষ্টা করেন জনতা। কিন্তু সেই হামলা আটকে দেয় পুলিশ। প্রশাসন সূত্রে জানানো হয়েছে, পশ্চিম ইম্ফলের একাধিক জায়গায় সেনা এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ান উত্তেজিত জনতা। কুতরুক, হারাওথেল, সেনজাম চিরাং এলাকায় সশস্ত্র দুষ্কৃতীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। সেখানেই দু’পক্ষের গুলির লড়াইয়ে এক পুলিশকর্মী-সহ দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। পুলিশকর্মীকে স্নাইপার দিয়ে মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।

গোষ্ঠী সংঘর্ষে মে মাস থেকেই উত্তাল মণিপুর। সেনা নামিয়েও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না। এমনকি, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মণিপুর সফরে গেলেও পরিস্থিতি পাল্টায়নি। এই অবস্থায় এক দিনের জন্য বিধানসভার অধিবেশন ডাকার জন্য রাজ্যপালের কাছে সুপারিশ জানাল মণিপুর মন্ত্রিসভা। রাজ্যপাল সম্মতি দিলে আগামী ২১ অগস্ট ওই অধিবেশন হতে পারে।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#Manipur burning, #Manipur violence, #Manipur

আরো দেখুন