রাজ্যসভায় দলীয় সাংসদের সাসপেনশন নিয়ে খবর FAKE, জানাল তৃণমূল
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: মঙ্গলবার সকালে মণিপুর ইস্যুতে রাজ্যসভায় তুমুল উত্তেজনা হয়। তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ডেরেক ও ব্রায়েনকে সাসপেন্ড করা হল। রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের সাথে তুমুল তর্ক বিতর্ক চলে। তারপরেই ডেরেক ও ব্রায়েন কে সাসপেন্ড করতে যান জগদীপ ধনখড়, এমনই খবর প্রকাশ করেছিল সংবাদ সংস্থা ANI ।
রাজ্যসভার তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন কে বাকি অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করেছেন “রাজ্যসভায় অশোভন আচরণের জন্য।” পীযূষ গোয়েল তার সাসপেনশনের জন্য একটি প্রস্তাব দেন রাজ্যসভায় – “রাজ্যসভার কাজে ক্রমাগত ব্যাঘাত ঘটানো, চেয়ারম্যানকে অমান্য করা এবং হাউসে ক্রমাগত গোলযোগ সৃষ্টি করার জন্য।
পরে, রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় বলেছেন, “এটি আমার পক্ষে খুব গুরুতর বিষয় যেটিকে বাতিল করা যায় না… গভীর, তাত্ক্ষণিক আলোচনার পরে, আমি আগে হাউসের অর্থ গ্রহণ করিনি৷ যদি আমি সত্যিই প্রক্রিয়াটিকে ফলপ্রসূ করতাম, ডেরেক ও’ ব্রায়েন হাউস থেকে বেরিয়ে যেতেন। আমার বুদ্ধিমত্তায়, আমি ভেবেছিলাম সেই সময়ে আমাকে এই উপসংহারে নিয়ে যাওয়া উচিত নয়…”
রাজ্যসভায় সরকারপক্ষের নেতা নেতা, পীযূষ গোয়াল বলেছেন, “আমি মনে করি ডেরেক ও’ব্রায়েনের কাছে সবচেয়ে কম আশা করা যেতে পারে যে তিনি চেয়ারের কাছে দুঃখ প্রকাশ করবেন।”
রাজ্যসভা এর পর দুপুর ২টো অবধি মুলতুবি হয়ে যায়। এরপর তৃণমূলের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে বিরোধীরা এককাট্টা হওয়ায় সেই সাস্পেনশনকে কার্যকরী করতে পারেনি সরকারপক্ষ।
এ প্রসঙ্গে সাংসদ সাকেত গোখেল মোদী সরকারকে আক্রমণ করে টুইট করেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন “প্রতিবারের মতো, মোদী সরকারের সবচেয়ে বড় মাল্টিমিডিয়া এজেন্সিগুলো এবং গোদি চ্যানেলগুলি দায়িত্বসহকারে নির্লজ্জ জাল খবর ছড়ায়। সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে সাসপেন্ড করা হয়নি। যদিও মোদী সরকার মরিয়া হয়ে তাই চায়।”