আজও জৌলুস হারায়নি সিউড়ির শতাব্দী প্রাচীন ভবতারিণী কালীমন্দিরের পুজো
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: “ত্বমেব মাতা চ পিতা ত্বমেব, ত্বমেব বন্ধুশ্চ সখা ত্বমেব,
ত্বমেব বিদ্যা দ্রবিনং ত্বমেব,ত্বমেব সর্বং মম দেবদেব”।
এই মন্ত্রধ্বনি আজও শোনা যায় সিউড়ির শতাব্দী প্রাচীন ভবতারিণী কালীমন্দিরে। সিউড়ির বিখ্যাত কালী মন্দিরের মধ্যে এটি অন্যতম। ভক্তদের বিশ্বাস এই দেবী অত্যন্ত জাগ্রত।
মল্লভূম রাজ্যের দেওয়ান ও শক্তিসাধক চন্ডীচরণ মুখোপাধ্যায়ের পৌত্র কুলদানন্দ ১২৮৩ বঙ্গাব্দের ৩০শে চৈত্র সিউড়িতে দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ির ভবতারিণী কালীবিগ্রহের আদলে মূর্তি নির্মাণ করিয়ে সিউড়িতে ভবতারিণী কালীবিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করেন।
জানা গেছে, দক্ষিণেশ্বর কালীবাড়ির কুড়ি বছর পরে প্রতিষ্ঠিত হয় এই কালী মন্দির। এই মন্দিরের কালী বিগ্রহের নির্মাতা দাইহাঁটের স্বনামধন্য শিল্পী শ্রীনবীনচন্দ্র ভাস্কর, যাঁর হাতে দক্ষিণেশ্বরে মা ভবতারিণী মূর্তি প্রাণ প্রতিষ্ঠা পেয়েছিলেন।
সাধক বামাক্ষ্যাপা, ঠাকুর সত্যানন্দদেব, ঠাকুর সীতারামদাস ওঙ্কারনাথ প্রমুখ নানা সাধক-সাধিকার পবিত্র চরণচিহ্ন পড়েছিল এই কালীবাড়িতে।
সিউড়ির কালীবাড়িতে জগদ্ধাত্রী পুজোও অনুষ্ঠিত হয়। এই পুজো উপলক্ষে মন্দিরে অষ্টমী তিথিতে হয় কুমারী পুজোর আয়োজন করা হয়।
মন্দিরপ্রাঙ্গণে সুদৃশ্য নাটমন্দির, কুলদেশ্বর ও গোবিন্দেশ্বর নামে দুটি প্রাচীন শিবমন্দির এবং নির্মাতা কুলদানন্দের পিতা সাধক কালীপ্রসাদের নামে একটি স্মৃতি উদ্যান আছে। মূল মন্দিরের প্রবেশ দ্বারের দুদিকে উপরিভাগে দশমহাবিদ্যার মূর্তি উৎকীর্ণ আছে।
আজও এই মন্দিরে প্রতিদিন নিত্যসেবা, ভোগ, আরতি, ভক্তভোজন, নানা আলোচনা, ধর্মোৎসব, অমাবস্যার রাতে বিশেষ পুজো হয়।