গণপিটুনির ক্ষেত্রে সাজা মৃত্যুদণ্ড, প্রস্তাব শাহর!
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দেশের আইন ব্যবস্থায় এবার বড়সড় পরিবর্তন আনতে চলছে কেন্দ্র সরকার। শুক্রবার নাবালিকা ধর্ষণ, গণধর্ষণের মতো অপরাধে কঠোরতম সাজার বিধান এনে নয়া বিল পেশ করলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।
এদিন সংসদে শাহ ঘোষণা করেন, ভারতীয় দণ্ডবিধি বা IPC, ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোড বা সিআরপিসি এবং ভারতীয় সাক্ষ্য আইন বা ইন্ডিয়ান এভিডেন্স অ্যাক্ট— এই তিন আইনের পরিবর্তে নতুন তিনটি আইন আনা হবে। শাহের পেশ করা বিল অনুযায়ী, ভারতীয় দণ্ডবিধির বদলে এবার সেটা হতে চলেছে ন্যায় সংহিতা। ক্রিমিনাল প্রসিডিউর কোড এবার হতে চলেছে ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতা।
এছাড়াও গণপিটুনির মতো অপরাধের জন্য কঠোর শাস্তির কথা ঘোষণা করলেন অমিত শাহ। লোকসভায় তিনি বলেন, ‘এমন কোনও কার্যকলাপ যাতে ভারতের সার্বভৌমত্ব বা একতা বা অখণ্ডতাকে বিপন্ন করে তা মেনে নেওয়া হবে না। এইসব কাজের সঙ্গে যাঁরা জড়িত তাঁদের সাত বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি ও জরিমানা হবে।’ এমনকী ফাঁসিও হতে পারে।
ঘটনা হলো দেশদ্রোহের অভিযোগ কেন্দ্রের মোদী সরকার বারবার প্রয়োগ করেছে সরকারি পদক্ষেপের বিরুদ্ধে মতপ্রকাশ এবং আন্দোলনে অংশ নেওয়ার দায়ে। সুপ্রিম কোর্টকে পর্যন্ত বলতে হয়েছে যে সরকারের বিরোধিতা বা সরকারি কোনও পদক্ষেপের যে কোনও বিরোধিতাকে রাষ্ট্রদ্রোহ বলা চলে না। ২০২২’র ১১ মে সুপ্রিম কোর্ট রাষ্ট্রদ্রোহের ধারা প্রয়োগে স্থগিতাদেশ জারি করেছিল। ঔপনিবেশিক আইনের ধারা বদলানো হলেও তার উদ্দেশ্য অটুট রেখে বিল পেশ করেছেন শাহ।
অমিত শাহ বলেছেন, কেন্দ্র গণপিটুনির মতো ঘটনার ক্ষেত্রে মৃত্যুদণ্ডের বিধানও চালু করবে। তবে গোরক্ষার নাম করে বা লাভ জিহাদের নাম করে যদি কাউকে পিটিয়ে মারা হয় তাহলে শাস্তি হবে কিনা এই প্রশ্ন রয়েছে। কারণ চালু আইনেই শাস্তি দেওয়ার ব্যবস্থা থাকলেও অপরাধীদের ধরা হচ্ছে না বিশেষত বিজেপি শাসিত রাজ্যে।