মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ, বিচারবিভাগের কাছে দেশ বাঁচানোর প্রার্থনা মমতার
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়কে খারিজ করে দুদিন আগে সংসদে বিল পেশ করেছে মোদী সরকার। যা নিয়ে এবার সরব হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
কোর্টের বিচারপতি নিয়োগের কলেজিয়াম পদ্ধতি নিয়ে আগেই কেন্দ্রীয় সরকার এবং বিচারব্যবস্থার মধ্যে সংঘাত তৈরি হয়েছিল। এবার আবার সরকার এবং বিচার বিভাগের মধ্যে নয়া সংঘাত তৈরি করতে চলেছে কেন্দ্র। দেশের শীর্ষস্থানীয় নির্বাচনী অফিসারদের নিয়োগের প্রক্রিয়ায় ভারতের প্রধান বিচারপতির আর কোনও ভূমিকা থাকবে না। গত ১০ অগস্ট রাজ্যসভায় প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার (নিযুক্তি, পরিষেবার শর্তাবলী এবং মেয়াদ) বিল, ২০২৩ পেশ করল মোদী সরকার।
এই বিলের প্রস্তাব অনুযায়ী, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনের অন্যান্য কমিশনারদের নাম সুপারিশ করবে প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে গঠিত একটি প্যানেল। আর সুপারিশ মেনে রাষ্ট্রপতি তাঁদের নিয়োগ করবেন। এই নিয়ে আজ শনিবার তোপ দাগলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
শনিবার টুইট করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, “মুখ্য নির্বাচন কমিশনার বাছাই করতে তিন সদস্যের কমিটিতে প্রধান বিচারপতির ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সিলেকশন কমিটিতে যেভাবে প্রধান বিচারপতিকে সরিয়ে এক জন ক্যাবিনেট মন্ত্রীকে ঢোকানোর চেষ্টা হচ্ছে তাতে তীব্র আপত্তি জানাচ্ছি”। মমতার কথায়, “সরকারের অস্বস্তিই বলে দিচ্ছে যে ওদের ভোট কারচুপির ভেস্তে যেতে পারত বলেই এই পদক্ষেপ। বিচার ব্যবস্থার প্রতি এই অসম্মান নিয়ে দেশ প্রশ্ন তুলুক”।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আরও বলেন, ‘INDIA প্রশ্ন করবেই বিচারব্যবস্থাকে অবমাননা করার বিষয়ে। ওরা কি মন্ত্রী পরিচালিত ক্যাঙারু কোর্ট চালু করতে চাইছে? আমরা ভারতের বিচারব্যবস্থার কাছে প্রার্থনা করছি, হুজুর আমাদের দেশকে বাঁচান।’