আজ যুবভারতীতে বৃষ্টির রং যেন লাল-হলুদ! চার বছর পর ডার্বি ইস্টবেঙ্গলের
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: অবশেষে শাপমুক্তি! চার বছর পর ডার্বির রং লাল-হলুদ। নন্দকুমারের গোলে ডার্বিতে জয়ের মুখ দেখল ইস্টবেঙ্গল। ডুরান্ড কাপে শনিবার যুবভারতীতে জ্বলে উঠল মশাল। ১-০ গোলে মোহনবাগানকে হারিয়ে দিল লাল হলুদ ব্রিগেড।
২০১৯ সালের ২৭ জানুয়ারি। ইস্টবেঙ্গল শেষ বার ডার্বি জিতেছিল সাড়ে চার বছর আগে। তার পর থেকে ডার্বির রং ছিল শুধুই সবুজ-মেরুন। গত বারের ডুরান্ডেও ১-০ জিতেছিল বাগান। কিন্তু এবার স্বমহিমায় ইস্টবেঙ্গল। বিশ্বকাপার জেসন কামিংস-সহ পূর্ণশক্তির দল নামিয়েও ইস্টবেঙ্গলকে হারাতে পারল না মোহনবাগান। বরং ভারতীয় তারকা নন্দকুমারের একক দক্ষতার দুরন্ত গোলে খরা কাটাল ইস্টবেঙ্গল। প্রায় সাড়ে চার বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে ১-০ মোহনবাগানকে হারাল ইস্টবেঙ্গল। কার্লেস কুয়াদ্রাতের স্ট্র্যাটেজির সামনে পিছিয়ে পড়লেন ফেরান্দো। মরশুমের প্রথম ডার্বি লাল-হলুদের।
প্রথমার্ধে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়েছে। কিন্তু গোলের মুখ খুলতে পারেনি কোনও দলই। ৬০ মিনিট- প্রতি আক্রমণে উঠে দুরন্ত গোল করে লাল-হলুদের নন্দকুমার। ডান ফ্ল্যাঙ্ক বরাবর নন্দকুমার দৌড় শুরু করেন। অনিরুদ্ধ থাপা তাঁকে আটকাতে এলে তাঁকে ডজ দিয়ে বাঁ-পায়ে বাঁকানো শট নেন নন্দ। সেকেন্ড পোস্টে রাখেন বল। বিশাল কাইথের কিছুই করার ছিল না। একক দক্ষতার অসাধারণ গোল নন্দকুমারের।
ম্যাচ শেষ হওয়ার পর তখন পাঁচ মিনিটও হয়নি। ইস্টবেঙ্গল গ্যালারির দিকে প্রদক্ষিণ করছেন ফুটবলারেরা। এত ক্ষণ ধরে রাখা গেলেও সহ্যের সীমা আর বাঁধ মানল না। পিল পিল করে মাঠে ঢুকে পড়লেন সমর্থকেরা। যুবভারতীতে তখন অঝোরে বৃষ্টি পড়ছে। তার মাঝেই লাল-হলুদ সমর্থকদের মধ্যে মুক্তির আনন্দ। সাড়ে চার বছর ধরে বয়ে চলা অপমানের মুক্তির। গ্যালারিতে একের পর এক বোম ফাটতে লাগল। বৃষ্টির মধ্যেই ছাতা মাথায় সেনাবাহিনীর কর্তারা সমর্থকদের তাড়া করা শুরু করলেন। কিন্তু আবেগ বাঁধ মানলে তো! হিমশিম খেতে হল নিরাপত্তারক্ষীদের।
কে ছিলেন না মোহনবাগানের দলে? সবচেয়ে আলোচিত নাম কাতার বিশ্বকাপে খেলা অস্ট্রেলিয়ার জেসন কামিংস। বলা হয়েছিল দরকারে তাঁকে নামানো হবে। ইস্টবেঙ্গলের খেলা এমনই ছিল যে সেই ‘দরকার’ এসে গেল ম্যাচের ৫৫ মিনিটেই। এ ছাড়া, ভারতীয় ফুটবল দলে মিডফিল্ডে যাঁরা নিয়মিত খেলেন, সেই সাহাল আব্দুল সামাদ, অনিরুদ্ধ থাপা, লিস্টন কোলাসোও অনেক ক্ষণ ধরে খেললেন। লিস্টনকে গোটা ম্যাচে পকেটে পুরে রাখলেন খাবরা। ক্রেসপো মাথা তুলতে দিলেন না অনিরুদ্ধকে। আর কামিংসের খেলা দেখে বোঝা গেল এখনও ভারতীয় ফুটবলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে সময় লাগবে।