হাওড়ার প্রাচীন মাকরচণ্ডীর মন্দিরে এখনও অর্ধমূর্তি পূজিত হয়, কেন জানেন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: হাওড়া ডোমজুড় ব্লকের অতি প্রাচীন নিদর্শন মাকরচণ্ডী মন্দির। এই মন্দিরের নাম অনুসারে এলাকাটির নাম হয়েছে মাকরদহ। অত্যন্ত জাগ্রত এই চণ্ডী মন্দিরের পিছনে রয়েছে এক বিরাট ইতিহাস।
কথিত আছে, সেই সময়ে গঙ্গার শাখানদী সরস্বতী প্রবল স্রোতস্বিনী ছিল। এই নদীতে বয়ে যেত সওদাগরদের সপ্তডিঙা। এমনই কোনও সময়ে সরস্বতী নদীর তীরে বেতবনের পাশ দিয়ে সপ্তডিঙ্গা ভাসিয়ে বাণিজ্যে যাচ্ছিলেন শ্রীমন্ত সদাগর। রাত্রি হয়ে আসায় তিনি বিশ্রামের জায়গা খুঁজছিলেন। এই এলাকায় তাঁর সপ্তডিঙা নোঙর করা হলে তাঁকে রাতে দেবী চণ্ডীর স্বপ্নাদেশে জানিয়েছিলেন তিনি বেতবনে আছেন। সেখানেই শ্রীমন্ত দেবীর মূর্তিটি খুঁজে পান।
জনশ্রুতি, এই মন্দিরের মূর্তিটি ছিল দশ ফুট উঁচু পাথরের। তার ওপরের অংশে যেন মুখের আকৃতি। সেই দেবীর মন্দির তৈরি হয়েছিল। পূজারি এখানে নিত্য পূজা করতেন। দশ ফুট উঁচু দেবী মূর্তিতে মালা দেওয়া পূজারির পক্ষে কষ্টকর হয়ে উঠছিল। পূজারি এ নিয়ে রোজই দুঃখ করতেন। একদিন সকালে দেবীকে মালা পরানোর সময় দেখা যায়, প্রতিমা মূর্তি পাতালে প্রবেশ করতে শুরু করেছে। পূজারি কেঁদে ক্ষমা চেয়ে মূর্তির বাকি অংশ জড়িয়ে ধরছিলেন। মূর্তির সেই মুখের অংশটুকু থেকে গিয়েছে গর্ভগৃহে মাটির ওপরে। সেই অংশটিই এখানে দেবী চণ্ডীরূপে পূজিতা হন। হাজার হাজার বছর ধরে এভাবেই পূজিত হচ্ছেন মা।