মাথা ব্যথায় নাজেহাল? জানেন মাইগ্রেনের চিকিৎসা কী?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মাথা ব্যথা নিয়ে ভোগেননি এমন মানুষ মেলা দায়। ব্যথা হয়ত কারও কম হয়, আবার কারও বেশি। কিন্তু এই সমস্যাটি এড়িয়ে জীবন কাটানো কার্যত অসম্ভব। ভারতীয় উপমহাদেশের মতো ট্রপিকাল দেশে মাথা ব্যথার প্রধান কারণ মাইগ্রেন। রোদে বেরলেই সমস্যার সূত্রপাত। অনেকেই জানান, গরমকালে সকালে কাজে বেরিয়েই যে মাথা ব্যথা শুরু হয়, তা সারাদিন ধরে চলে। গোটা দিনের কাজ নষ্ট হয়। বাড়ি ফিরেও শান্তি নেই। দিন শেষে বাড়ি ফিরেই ঘর অন্ধকার করে শুয়ে পড়েন ভুক্তভোগীরা। মাইগ্রেনজনিত ব্যথা হলে, রোগীরা অন্ধকারাচ্ছন্ন ঘরে চুপ করে শুয়ে থাকতে চান। মাথা নাড়াচাড়া করলেই ব্যথা বাড়তে থাকে। সাধারণ মাইগ্রেন এটাই। মাইগ্রেনের সমস্যায় মাথা ঘুরতে থাকে, বমি হয়।
মাইগ্রেনের চিকিৎসা রয়েছে। কিন্তু এ দেশের লোকরা মাথা ব্যথা হলে, চিকিৎসকের কাছে যান না। দোকানে গিয়ে নিজের ইচ্ছা মতো ওষুধ কিনে খান বা জড়িবুটির টোটকা ব্যবহার করেন। যার জেরে সারা জীবন ধরে জিইয়ে থাকা মাথা ব্যথা। এমনকি মানুষজন লোকাল ট্রেনে বিক্রি হওয়া, নানারকম ব্যথার মলমও ব্যবহার করেন।
মাইগ্রেন হলে কিছু নিয়ম মানা উচিত; যেমন, কড়া রোদে একদম বেরনো উচিত নয়, খুব জোরালো তথা তীব্র শব্দের মধ্যে যাওয়া উচিত নয়, জ্বলছে-নিভছে এমন আলোর মধ্যে থাকা উচিত নয়। ১৩-১৪ বছর বয়স থেকেই মাইগ্রেন শুরু হতে পারে। এই বয়সে মাথাব্যথা হলে ভারতের মতো দেশে বাড়ির মা-বাবারা ভাবেন, চোখের পাওয়ার চেঞ্জের জন্য মাথা ব্যথা হচ্ছে। চোখের ডাক্তার দেখান, কিন্তু চশমা পরেও মাথা ব্যথা না কমলে মাইগ্রেনের কথা ভাবতে হবে। নিজের মতো করে ব্যথার ওষুধ খেয়ে সময় নষ্ট করবেন না।
এছাড়াও মাথা ব্যথার আরও কারণ রয়েছে; কাজের চাপ যাঁদের বেশি, তাঁদের টেনশন টাইপ হেডেক রয়েছে। এক্ষেত্রে মনে হয়; মাথার চারপাশে যেন একটা দড়ি শক্ত করে বাঁধা রয়েছে। সাধারণত সারাদিনের কাজের শেষে এই ব্যথা আরম্ভ হয়, আর কমতে চায় না। মাইগ্রেনের মতো তীব্র ব্যথা না হলেও, অস্বস্তিকর ব্যথা চলতেই থাকে।
এ দেশে প্রেসক্রিপশন ছাড়াই মুড়ি-মুড়কির মতো পেইন কিলার খাওয়ার নেশা মাথা ব্যথা ডেকে এনেছে। মেডিকেশন ওভারইউজ মাথা ব্যথার জন্যে এটিই দায়ী। এ’সব রোগীর যত মাথা ব্যথা হয়, তাঁরা ততই ব্যথার ওষুধ কিনে খান, আর ওষুধ যতই পেটে পড়ে, ততই মাথাব্যথা বাড়তে থাকে। কিছুদিন ব্যথা সহ্য করে ওষুধ খাওয়া বন্ধ করতে পারলেই, এই ব্যথা ধীরে ধীরে কমে যাবে। অতএব সচেতন হোন, মাথা ব্যথা ফেলে রাখবেন না। চিকিৎসকের কাছে যান। পরামর্শ নিন।