হিরে চুরির মামলাকে কেন জয় বাবা ফেলুনাথের সঙ্গে তুলনা করলেন বিচারপতি?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গত সপ্তাহে কলকাতার এক আদালতে শেষ হল ২১ বছর ধরে চলা সুদীর্ঘ আইনি লড়াই। ৩২ ক্যারেটের গোলকুন্দা হিরে চুরিকে কেন্দ্র করে মামলা চলছিল। চুরি যাওয়া হিরে মালিকের হাতে পৌঁছে দিয়েই, নিম্ন আদালতের বিচারক মামলাটিকে সত্যজিৎ রায়ের গোয়েন্দা চরিত্র ‘ফেলুদার’ এক কাহিনীর সঙ্গে তুলনা করেন।
ঘটনাটা ঠিক কী?
চুরির কাহিনী কোনও থ্রিলারের চেয়ে কম কিছু নয়। বন্দুক দেখিয়ে ডাকাতি থেকে শুরু করে পুলিশি অভিযান, পরতে পরতে রয়েছে রহস্য।
ডাকাতির ঘটনাটি ঘটেছিল ২০০২ সালে। দক্ষিণ কলকাতার বাসিন্দা প্রণবকুমার রায় হলেন হিরেটির মালিক। তিনিই হিরের মূল্য জানতে একজন স্বর্ণকারের সন্ধান করছিলেন। ২০০২ সালের জুন মাসে, হিরের দালাল ইন্দ্রজিৎ তপাদার প্রণব রায়ের বাড়িতে আসেন। প্রণববাবুর বক্তব্য, লোকটি যে’ভাবে তার হিরের দিকে তাকিয়েছিল তাতে তার সন্দেহ হয়েছিল। কিন্তু কিছু করার আগেই ওই হিরের দালাল পিস্তল বের করে হিরে নিয়ে চম্পট দেন। প্রণববাবুকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে হিরে নিয়ে পালান ইন্দ্রজিৎ তপাদার। প্রণব রায় পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করলে, পুলিশ অভিযুক্তকে খোঁজার চেষ্টা করে।
অভিযুক্ত নিজের বাড়ির কোথাও হিরেটি লুকিয়ে রেখেছে, এমন সন্দেহ করে পুলিশ তল্লাশি চালায়। যদিও হিরেটির খোঁজ মেলেনি। এরপর পুলিশ যখন হাল ছেড়ে দিতে যাচ্ছিল, তখন তারা সিঁড়ির নীচে মিটার বাক্সের কাছে সুইচবোর্ডের ভিতরে হিরেটি খুঁজে পায়। বিচারক সত্যজিৎ রায়ের বিখ্যাত গোয়েন্দা গল্প ‘জয় বাবা ফেলুনাথ’-এর সঙ্গে, এই কেসের হিরে উদ্ধারের পদ্ধতির তুলনা করেন।