চাঁদে ভারত-রাশিয়া যুদ্ধ! বিষয়টা কী?
নিউজ ডেস্ক,দৃষ্টিভঙ্গি: ভারতের চন্দ্রযান-৩ মিশনের সঙ্গে কার্যত প্রতিযোগিতায় নেমেছে ‘লুনা-২৫’। কে আগে চাঁদকে ছুঁতে পারে এখন সবার নজর সেদিকেই।
১৯৭৬ সালের পর ২০২৩ সালে আবার চাঁদের উদ্দেশে মহাকাশযান পাঠাল রাশিয়া। রুশ মহাকাশযান ‘লুনা-২৫’-এর লক্ষ্যও চন্দ্রযান-৩-এর মতো। দক্ষিণ মেরুতে অবতরণ করা।
গত বুধবার শেষবারের মতো নিজের কক্ষপথ বদল করে চাঁদের আরও কাছে পৌঁছে যায় চন্দ্রযান ৩। বর্তমানে চাঁদের থেকে সর্বোচ্চ ১৬৩ কিমি এবং সর্বনিম্ন ১৫৩ কিমি দূরত্বে থেকে প্রায় গোলাকার ভাবে প্রদক্ষিণ করছে চন্দ্রযান ৩। আজ ল্যান্ডার ‘বিক্রম’ আলাদা হয়েছে চন্দ্রযান ৩ থেকে। ইসরো জানিয়েছে, মূল যান বা প্রপালশন মডিউল থেকে পরিকল্পনা মাফিক বিচ্ছিন্ন হয়েছে বিক্রম। চাঁদের মাটির আরও কাছের কক্ষপথে যাচ্ছে এই ল্যান্ডার ‘বিক্রম’। উল্লেখ্য, চাঁদের মাটিতে আর মাত্র ৬ দিনেই পা রাখার কথা বিক্রমের।
এদিকে ইতিমধ্যেই চাঁদের কক্ষপথে প্রবেশ করে প্রদক্ষিণ শুরু করে দিয়েছে রাশিয়ার মহাকাশযান লুনা ২৫। আগামী ২১ থেকে ২৩ অগস্টের মধ্যেই রাশিয়ার এই মহাকাশযানটি চাঁদে অবতরণ করার পরিকল্পনা করছে।
জানা গিয়েছে, রাশিয়ার মহাকাশ বিজ্ঞান সংস্থা রসকসমসের পরিকল্পনা। মোট ৫ দিন চাঁদকে প্রদক্ষিণ করবে লুনা ২৫। এরপর আগামী ২১ অগস্ট এটি চাঁদে অবতরণের চেষ্টা করবে। তবে পরিস্থিতির হেরফেরে ২৩ অগস্ট পর্যন্ত অবতরণের দিনক্ষণ নির্ধারণ করা হবে। যদিও রসকসমস জানিয়েছে, লুনা ২৫-এর সব যন্ত্রাংশ ঠিক ভাবে কাজ করছে। সিস্টেমে কোনও গোলমাল নেই। এই আবহে ভারতের চন্দ্রযান ৩-এর আগেই হয়ত এটি চাঁদের মাটি ছুঁতে পারে।
সফট ল্যান্ডিংয়ের পর রোভার ‘প্রজ্ঞান’ ও ল্যান্ডার ‘লুনা-২৫’ চাঁদের দক্ষিণ মেরু অঞ্চলে হিমায়িত জল ও অক্সিজেনের অস্তিত্ব খুঁজবে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, ‘প্রজ্ঞান’-এর পক্ষে চাঁদের বুকে জল খুঁজে পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। কারণে ছয় চাকা বিশিষ্ট এই রোভারটি অনেকটা জায়গা জুড়ে চাঁদের দক্ষিণ মেরু অংশে ঘোরাঘুরি করতে পারবে।