গবেষণাপত্রে BJP-র জয়ের পর্দা ফাঁস করতেই ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হল অধ্যাপককে?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: উনিশের লোকসভায় মোদী ম্যাজিক-ট্যাজিক নয়, প্রভাব খাটিয়েই জয় পেয়েছিল বিজেপি। সংখ্যাগরিষ্ঠতার নেপথ্য পর্দা ফাঁস করে গবেষণাপত্র প্রকাশ করেছিলেন অশোকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতির অধ্যাপক সব্যসাচী দাস। এবার ওই অধ্যাপককে বাধ্য করা হল ইস্তফা দিতে, এমনই অভিযোগ উঠছে। সোমবার সব্যসাচী ইস্তফা দিতেই, ফের একবার মোদী আমলে বাক স্বাধীনতা হরণ নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়।
কেবল সব্যসাচীবাবুই নন, বিশ্ববিদ্যালয়ে আতঙ্কের পরিবেশের কথা জানিয়ে বুধবার চাকরি ছেড়েছেন অর্থনীতি বিভাগের আরেক অধ্যাপক পুলাপ্রে বালাকৃষ্ণণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ কর্তৃপক্ষের কাছে লেখা খোলা চিঠিতে অধ্যাপক দাসকে পুনর্বহালের দাবি জানিয়েছে। গবেষকদের কাজে হস্তক্ষেপ করা হচ্ছে, যা শিক্ষক মহলে আতঙ্ক ছড়িয়েছে, এই মর্মেই লেখা হয়েছে চিঠিটি।
অর্থনীতি বিভাগ টুইটারে সেই খোলা চিঠি পোস্ট করেছে। অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক অশ্বিনী দেশপান্ডে জানান, অর্থনীতি বিভাগের অনুমতি নিয়েই তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় চিঠিটি পোস্ট করেছেন। চিঠিতে লেখা হয়েছে, সব্যসাচী দাসের ইস্তফা পেশ এবং যেভাবে তা গ্রহণ করা হয়েছে; তা অর্থনীতি বিভাগের বিশ্বাসে আঘাত করেছে। চিঠিতে দাবি জানানো হয়েছে, ২৩ আগস্টের মধ্যে অধ্যাপক দাসের ইস্তফা বাতিল করতে হবে। পাশাপাশি আরও দাবি করা হয়েছে, এই পদক্ষেপ নিয়ে কর্তৃপক্ষকে ব্যাখ্যা দিতে হবে। কমিটি ফর অ্যাকাডেমিক ফ্রিডম গঠনের দাবিও জানানো হয়েছে খোলা চিঠিতে।
অর্থনীতির পাশাপাশি ইংরাজি সাহিত্য বিভাগও অধ্যাপক দাসের বিষয়ে গভর্নিং বডির কাছে চিঠি পাঠিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সোমক রায়চৌধুরী জানিয়েছেন, সিএএফ গঠনের উদ্যোগ দু’বছর আগেই নেওয়া হয়েছিল। ফ্যাকাল্টি সদস্য এগিয়ে না আসায় উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়নি। যদিও এ ঘটনা নতুন নয়, এর আগেও বিজেপির রোষে পড়ে উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক অধ্যাপককে ইস্তফা দিতে হয়েছিল। সংবাদমাধ্যমে বিজেপির সমালোচনা করায় রাষ্ট্রবিজ্ঞানের খ্যাতনামা অধ্যাপক প্রতাপ ভানু মেহতাকেও অশোকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইস্তফা দিতে হয়েছিল।