অধীরকে নিয়ে ডাকা প্রিভিলেজ কমিটির বৈঠক বৈধ? কেন উঠছে প্রশ্ন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: অধীররঞ্জন চৌধুরীর সাসপেনশন কি যথাযথ? উত্তর খুঁজতে আজ, শুক্রবার বৈঠকে বসেছিল লোকসভার প্রিভিলেজ কমিটি। নিজেদের মধ্যে আলোচনা সারতে কমিটির চেয়ারম্যান তথা ঝাড়খণ্ডের বিজেপি সাংসদ সুনীলকুমার সিং বৈঠক ডেকেছিলেন। কমিটির সদস্যদের মতামত জেনে নিতে চেয়েছিলেন তিনি। যদিও এদিনের বৈঠকে, সরকার পক্ষ বা অধীরবাবু, কোনও পক্ষকেই ডাকা হয়নি। আজকের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, অধীরকে ডেকে তাঁর বক্তব্য শোনা হবে। স্বাধিকার রক্ষা কমিটির পরবর্তী বৈঠক হওয়ার কথা ৩০ অগস্ট।
বৈঠকে যোগ দিতে কমিটির অন্যতম সদস্য তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় দিল্লি গিয়েছিলেন। কংগ্রেসের কে সুরেশ, ডিএমকের নেতা টি আর বালুও বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা ছিল বলে জানা গিয়েছে। কমিটিতে বিজেপি সাংসদরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ কিন্তু মনে করা হচ্ছে ইন্ডিয়া জোটের সাংসদরা অধীরবাবুকে বাঁচাতে সরব হবেন। মণিপুর ইস্যুতে মোদীর নীরবতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে অধীরবাবু যা বলেছিলেন, লোকসভার রেকর্ড থেকে তা বাদ দেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ সরকারিভাবে তিনি কথাগুলি বলেনইনি। সেক্ষেত্রে শাস্তি কেন? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।
বিজেপি সরকারের বক্তব্য, কেবল ১০ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ নয়। নাগাড়ে দুর্ব্যবহারের অভিযোগে অধীররঞ্জন চৌধুরীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। প্রিভিলেজ কমিটি সংসদে রিপোর্ট পেশ না করা পর্যন্ত, অধীরবাবু সংসদের কোনও কাজে অংশ নিতে পারবেন না। লোকসভার কক্ষ, ভিতরের লবি, গ্যালারিতেও তাঁর প্রবেশাধিকার থাকছে না। কোনও সংসদীয় কমিটির বৈঠকে তিনি হাজির থাকতে পারবেন না। ডেইলি অ্যালাউন্স পাবেন না।
অধীরবাবু সংসদের পাবলিক অ্যাকাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান, পরপর পাঁচ বছর তিনিই কমিটির চেয়ারম্যান। ক্যাগ যে রিপোর্ট পেশ করে, তার বিশ্লেষণ করা এই কমিটির কাজ। এই সূত্র ধরেই অভিযোগ আনছেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গে। কংগ্রেস সভাপতির অভিযোগ, মোদী সরকারের বিরুদ্ধে ক্যাগের রিপোর্ট যাতে বিশ্লেষণ করতে না পারেন, তাই অধীরবাবুকে সাসপেন্ড করা হয়েছে। পরিকল্পনা করেই তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তির পদক্ষেপ করেছে মোদী সরকার। বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করতেই সাসপেন্ড। অধীরবাবু জানিয়েছেন, তিনি ক্ষমা চাইবেন না। এই পরিস্থিতিতে মনে করা হচ্ছে, আজকের বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।