নাড্ডাদের ‘ভোকাল টনিক’ বঙ্গে কাজ দিচ্ছে না! BJP-র গোষ্ঠী কোন্দল অব্যাহত
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: একদিকে জেপি নাড্ডারা বঙ্গ বিজেপিকে ‘চাঙ্গা’ করার চেষ্টা করছেন, অন্যদিকে প্রায় নিত্য দিনই দলীয় কোন্দলের নগ্ন চিত্র নানাভাবে সামনে চলে আসছে! যেমন, রাস্তায় প্রাক্তন জেলা সহ-সভাপতিকে লাথি মেরে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বর্তমান বিজেপির জলপাইগুড়ি জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী ও যুব মোর্চার সভাপতি পলেন ঘোষের বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।
দলের বিরুদ্ধে গিয়েই নাকি লাগাতার উপদলীয় কার্যকলাপ চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। সেই অভিযোগে এক বছর আগেই প্রাক্তন জেলা সহ-সভাপতিকে বহিষ্কার করেছিল বিজেপি। কিন্তু তারপরেও উপনির্বাচনের প্রার্থীর মনোনয়ন জমা দেওয়ার মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন তিনি। সেই মিছিলেই তাঁকে রাস্তায় ফেলে বেধড়ক লাথি মারার অভিযোগ উঠল দলেরই বর্তমান জেলা সভাপতির বিরুদ্ধে। এই ঘটনা নিয়ে অস্বস্তিতে পড়েছে পদ্ম শিবির।
২০২১ সালে পুলওয়ামা জঙ্গি হামলায় নিহত সিআরপিএফ জওয়ান জগন্নাথ রায়ের স্ত্রী তাপসী রায়কে ধূপগুড়ি উপনির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করে বিজেপি। বৃহস্পতিবার প্রার্থীকে নিয়ে বিজেপির জলপাইগুড়ি ডিবিসি রোড জেলা কার্যালয় থেকে রীতিমতো ঢাক বাজিয়ে মিছিল করে মনোনয়ন পত্র জমা দিতে বের হন বিজেপির নেতা-কর্মীরা। উপস্থিত ছিলেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা, জলপাইগুড়ির সাংসদ ডা: জয়ন্ত কুমার রায়-সহ দলের জেলা কমিটির নেতারা। মিছিল জেলা অফিস থেকে বেরিয়ে কিছু দূর এগোতেই ছন্দপতন। প্রাক্তন জেলা সহ সভাপতি অলোক চক্রবর্তী প্রার্থীকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা বিনিময়ের জন্য এগিয়ে যেতেই প্রার্থীর পাশে থাকা জেলা সভাপতি বাপি গোস্বামী প্রথমে তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেন বলে অভিযোগ। এরপর লাথি মারতে থাকেন। পাশে থাকা যুব মোর্চার জেলা সভাপতি পলেন ঘোষও তাঁকে লাথি মারে বলে অভিযোগ।
ঘটনার বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে মন্তব্য করতে অস্বীকার করেন বাপি গোস্বামী। অন্যদিকে বিষয়টিকে দুই নেতার ব্যক্তিগত বিষয় বলে এড়িয়ে গিয়েছেন জলপাইগুড়ির সাংসদ জয়ন্ত কুমার রায়। তবে বিজেপি’র এই গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব আসন্ন উপ নির্বাচনে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন অনেকে।