গ্রাম বাংলায় যথেচ্ছ গগনচুম্বী বহুতল নির্মাণ রুখতে কী উদ্যোগ নিচ্ছে রাজ্য?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: গ্রামীণ এলাকাতেও মাথাচাড়া দিচ্ছে গগনচুম্বী অট্টালিকার সারি। ইচ্ছেমতো তৈরি হচ্ছে বহুতল। এবার গ্রাম বাংলায় যথেচ্ছ বহুতল নির্মাণে লাগাম টানতে উদ্যোগী হল রাজ্য। নতুন নির্মাণ বিধি তৈরির পথে এগোচ্ছে নবান্ন। পঞ্চায়েত ও গ্রামীণ উন্নয়ন দপ্তর নয়া বিধির খসড়া তৈরি করছে বলে জানা গিয়েছে। রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রীর কথায়, সময়ের দাবি মেনেই পদক্ষেপ করা হচ্ছে।
২০০৪ সালের ওয়েস্ট বেঙ্গল পঞ্চায়েত রুলসের ‘কন্ট্রোল অব বিল্ডিং অপারেশনস’ চ্যাপ্টারের উপর ভিত্তি করে আজও গ্রামীণ এলাকায় বাড়ি তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়। বিধির সীমাবদ্ধতাকে কাজে লাগিয়ে, পরিবেশের কোনও তোয়াক্কা না করেই গ্রামীণ এলাকাতেও সাম্রাজ্য বিস্তার করছে কংকিটের জঙ্গল। বড় শহর সংলগ্ন শহরতলিতে এই প্রবণতা সবচেয়ে বেশি চোখে পড়ছে। দক্ষিণবঙ্গের ভাঙড়, রাজারহাট, আসানসোল, সোনারপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়ার অযোধ্যা, হাওড়া, হুগলি, মুর্শিদাবাদ এবং উত্তরবঙ্গে ডুয়ার্স, ডাবগ্রাম-ফুলবাড়ির একাধিক পঞ্চায়েত এলাকায় এইভাবেই মাথা তুলছে একাধিক বহুতল। দ্রুত এই পরিস্থিতিকে নিয়ন্ত্রণে আনতে চাইছে নবান্ন।
গ্রামীণ এলাকায় আইন মেনে বাড়ি নির্মাণ নিশ্চিত করতে তৈরি হচ্ছে নয়া পঞ্চায়েত বিল্ডিং রুলস। জানা যাচ্ছে, একতলা বা দোতলা বসত বাড়ির তুলনায় বহুতল তৈরির ক্ষেত্রে অনিয়ম ধরা পড়ার প্রবণতা বেশি। নয়া বিধি লাগু হলে নজরদারি বাড়ানো হবে। বাড়ি তৈরির অনুমোদন মিললেও নিয়ম মানা হচ্ছে কি না, তা দেখা হবে। সাড়ে ছ’মিটার বা তার বেশি উচ্চতার বাড়ি তৈরির অনুমতি পাওয়ার ক্ষেত্রে নয়া বিধিতে কিছু নতুন নিয়ম যুক্ত হচ্ছে বলে খবর মিলেছে। বাড়ি তৈরির আবেদনের সঙ্গে বিল্ডিং প্ল্যান জমা দিতে হবে। সাড়ে ছ’মিটারের বেশি উচ্চতার বাড়ির ক্ষেত্রে শিবপুর বিই কলেজ, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় বা এই জাতীয় কোনও স্বীকৃত সংস্থার বিশেষজ্ঞদের দিয়ে ভেটিং করিয়ে তবেই বিল্ডিং প্ল্যান জমা দেওয়া যাবে।
নয়া বিধি ফের নিকাশি, পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষাসহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি নির্দিষ্ট করে দিচ্ছে রাজ্য। জানা গিয়েছে, আইনদপ্তরের যাচাইয়ের পরই মন্ত্রিসভার বৈঠকে খসড়া বিধি পেশ হবে। সব মিলিয়ে এই নয়া বিধি চালু করার লক্ষ্যে এগোচ্ছে রাজ্য।