মোদী বিরোধী আন্দোলন করলেই কাটা যাবে কেন্দ্রীয় কর্মীদের বেতন?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: মোদী সরকার বিরোধী আন্দোলন করতে পারবেন না কেন্দ্রীয় কর্মীরা। বিক্ষোভ সমাবেশ বা প্রতিবাদ আন্দোলন, ধর্না, অবস্থান বিক্ষোভ কিছুই করতে পারেন না কেন্দ্রের কর্মীরা। মোদী সরকারের নির্দেশ না মানলে, সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা কন্ডাক্ট রুলসের আওতায় বিধিভঙ্গের অভিযোগে অভিযুক্ত হবেন। কর্মীদের বেতন কাটা যেতে পারে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপও নেওয়া হতে পারে।
নয়া পেনশন স্কিমের বদলে পুরনো পেনশন স্কিম চালু করতে হবে, এই দাবিতে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের একাংশ আগামীকাল, অর্থাৎ সোমবার দেশের বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সরকারি প্রতিষ্ঠান এবং কার্যালয়ের সামনে মিটিং, ধর্না, অবস্থান বিক্ষোভ, সমাবেশ, আলোচনা সভার ডাক দিয়েছে। এই বিক্ষোভ আটকাতেই মরিয়া হয়ে উঠেছে মোদী সরকার। জারি হয়েছে বিজ্ঞপ্তি। শ্রমসহ সব মন্ত্রকেই বিজ্ঞপ্তি পাঠিয়ে বলা হয়েছে, বিক্ষোভের দিন কোনও কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী যেন ছুটি না পান।
পুরনো পেনশন স্কিম চালুর দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মচারীদের ২১ আগস্টের কর্মসূচি রুখতে কর্মিবর্গ মন্ত্রক ১৬ আগস্ট বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। ইতিমধ্যেই সেই বিজ্ঞপ্তির পরিপ্রেক্ষিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছে শ্রমমন্ত্রক। বিজ্ঞপ্তি মেনেই পদক্ষেপ করছে অন্যান্য মন্ত্রকও। বিজ্ঞপ্তিতে কর্মিবর্গ মন্ত্রক সাফ জানিয়েছে, সংগঠন তৈরির অধিকার থাকলেও সরকারি কর্মীদের কোনওরকম ধর্মঘট করার নিয়ম নেই।
বিজ্ঞপ্তিতে কর্মিবর্গ মন্ত্রক তরফে, প্রয়োজন অনুযায়ী যুগ্মসচিবদের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আধিকারিকদের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে চলতে বলা হয়েছে। কর্মিবর্গ মন্ত্রক জানিয়েছে, এরপরও যদি কোনও কেন্দ্র সরকারি কর্মী ধর্না, প্রতিবাদ বা ধর্মঘটের পথে হাঁটেন, সেক্ষেত্রে তাঁদের নাম নির্দিষ্ট তারিখে সন্ধ্যের মধ্যে জানিয়ে দিতে হবে। ইউটিইউসির সাধারণ সম্পাদক অশোক ঘোষের কথায়, পুরনো পেনশন স্কিমের দাবিতে সকলে সোচ্চার হতেই সরকার বেকায়দায় পড়েছে। তাঁর মতে, প্রতিবাদ সামলাতে ব্যর্থ হয়েই মোদী সরকারকে হুমকি-হুঁশিয়ারি পথে হাঁটতে হচ্ছে। দেশের শাসক দলের বহু কর্মীও রাস্তায় নামছেন বলেও জানান তিনি।