দেশ বিভাগে ফিরে যান

Chandrayaan3: কৃতিত্ব মোদী একা নিতে চাইলেও, এই বাঙালিদের ভূমিকা অনস্বীকার্য

August 24, 2023 | 2 min read

নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: বুধবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ গোটা দেশের নজর ছিল টেলিভিশনের পর্দায়। সকলেই সাক্ষী থাকতে চাইছিলেন সেই ঐতিহাসিক মুহূর্তের। ৬টা বেজে ৪ মিনিটে এল সেই মুহূর্ত, যখন চন্দ্রযান-৩ নিরাপদে সফ‌্‌ট ল্যান্ডিং করল চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে। কিন্তু হতাশ হতে হল সকলকে! চন্দ্র-স্পর্শের সেই মাহেন্দ্রক্ষণটুকু দেখারই সুযোগ পেলেন না দেশবাসী। কারণ সেই সময়ে পর্দা জুড়ে শুধু মোদীর মুখ এবং তাঁর ময়দানি বক্তৃতা শুরু। ল্যান্ডার বিক্রম চাঁদের মাটি ছোঁয়ার পাঁচ মিনিট আগে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

পাঁচ রাজ্যের ভোট ও ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে এদিনের ‘চন্দ্রবিজয়’-কে অবলীলায় নিজের মুকুটে সাফল্যের পালক হিসেবে গুঁজে নেবেন নিজের ঢাক পেটানোয় সিদ্ধহস্ত প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সেটা অনেকেরই জানা। তবে এর ফলে যাঁদের অক্লান্ত পরিশ্রম, মেধার উপর ভর করে ভারতের মাথা আজ বিশ্ব দরবারে উঁচু হয়ে গেছে, তাঁরা যেন আড়ালেই রয়ে গেলেন!

যেমন, ISRO –র চেয়ারম্যান এস সোমনাথ, চন্দ্রযান-৩’এর প্রজেক্ট ডিরেক্টর পি ভীরামুথ্থুভেল, বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের ডিরেক্টর এস উন্নিকৃষ্ণন নাইয়ার, ইউ আর রাও স্যাটেলাইট সেন্টারের ডিরেক্টর এম শঙ্করন, সতিশ ধাওয়ান স্পেস সেন্টার SHAR-এর ডিরেক্টর এ রাজারাজন।

এছাড়ার বেশ কয়েকজন কৃতি বাঙালির গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে চন্দ্রযান-৩ কে চাঁদে পাঠানোর পিছনে। যেমন খড়্গপুর আইআইটি থেকে এমএসসি এবং পিএইচ ডি করা বাদুড়িয়ার জয়ন্ত পাল। চন্দ্রযান-৩-এর ‘অপারেশন’ দলের সদস্য তিনি। জয়ন্তদের দায়িত্ব ছিল চন্দ্রযান-৩-এর গতিবেগ কখন কেমন হবে, তা দেখা। বীরভূমের বিজয় দাই, বাঁকুড়ার কৃশানু নন্দীও। এই দু’জনই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এম-টেক করেছেন। চন্দ্রযান চাঁদের মাটি ছোঁয়ার পরে ‘রোভার’ গাড়ির গতিবিধি সমন্বয়ের বিষয়টি দেখছেন তাঁরা।

বীরভূমেরই সৌম্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় চন্দ্রযান-৩-এর অপারেশন ডিরেক্টর (মিশন সফ্টওয়্যার)। বীরভূমের মল্লারপুরের বিজয় দাইও রয়েছেন এই চন্দ্রযান-৩-এর টিমে। তিনি চন্দ্রযান-২ এর মিশনেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় ছিলেন। মুর্শিদাবাদের বেলডাঙার বড়ুয়া কলোনির একটি দোতলা বাড়ির সামনে তো বুধবার সন্ধ্যায় বাজি ফাটানো শুরু হয়ে যায়। এই বাড়ির ছেলে তুষারকান্তি দাস ইসরোর বিজ্ঞানী। তিনি সরাসরি চন্দ্রযান-৩ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত। পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার বাসিন্দা, বিজ্ঞানী পীযূষকান্তি পট্টনায়ক ছিলেন চন্দ্রযান-৩-এর তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণের দায়িত্বে। দিনাজপুরে ইসলামপুরে, আশ্রমপাড়ায় অনুজ নন্দীও চন্দ্রযানের অভিযানের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যে সব বিজ্ঞানীদের অবদানে আজ এই সাফল্য, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন উত্তরপাড়ার জয়ন্ত লাহাও। জয়ন্তবাবু ২০০৯ সালে ইসরোতে যোগ দেন।

TwitterFacebookWhatsAppEmailShare

#ISRO, #bengali scientists, #Moon, #Chandrayaan 3, #lander vikram, #chandrayaan_3

আরো দেখুন