টাকা থাকলেই ডাক্তার হওয়া যায়! জানেন তার জন্য কত খরচ করতে হয়?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: টাকা থাকলেই ডাক্তার হওয়া যায়! নিটে দশ লক্ষের পিছনে র্যাঙ্ক হলেও চিন্তা নেই। হ্যাঁ, বর্তমান পরিস্থিতিতে টাকা থাকলেই যে ডাক্তার হওয়া যায়, এই ধারণা মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে। সেই সুযোগে প্রাইভেটে এমবিবিএস পড়ার খরচ আসন পিছু বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় দেড় কোটি। আর তাতেই নাভিশ্বাস মধ্যবিত্তের।
বজবজের একটি মেডিক্যাল কলেজে ম্যানেজমেন্ট কোটায় ডাক্তার হতে গেলে গুনতে হবে কোটি টাকার বেশি (পড়াশোনা, অ্যাডমিশন, কশন মানি, কালচারাল ফি ইত্যাদি মিলিয়ে)। হস্টেলে খাওয়াদাওয়ার খরচ যোগ করলে আরও ৮-১০ লক্ষ টাকা খরচ বাড়বে। এনআরআই কোটায় এই খরচ ১ কোটি ২০ লক্ষ (হস্টেল খরচ বাদে)। সদ্য চালু হওয়া হাওড়ার একটি মেডিক্যাল কলেজে ম্যানেজমেন্ট ও এনআরআই কোটার ডাক্তারি পড়ার খরচ যথাক্রমে ১ কোটি এবং ১.৩২ কোটি টাকা। দুর্গাপুরের একটি প্রাইভেট মেডিক্যাল কলেজে হস্টেলে খাওয়া বাদে এই খরচ যথাক্রমে সাড়ে ৯৯ লক্ষ এবং ১.২৫ কোটি। দুর্গাপুরেরই আর একটি কলেজে ম্যানেজমেন্ট ও এনআরআই কোটার খরচ যথাক্রমে ৭৩ লক্ষ এবং ১ কোটি ৪১ লক্ষ টাকা।
মেয়েকে ভর্তির জন্য ছুটোছুটি করছিলেন স্বাস্থ্যদপ্তরেরই এক কর্তা। ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘এত টাকার ফিক্সড ডিপোজিট ক’জন মধ্যবিত্ত বাঙালির করা আছে? অথচ ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি না দিতে পারলে কিছু কলেজ ১০, ১৫ এমনকী ২০ লক্ষ টাকা দাবি করছে। এ তো দেখছি, প্রাইভেটে ডাক্তারি পড়াতে গিয়ে আমাদের কিডনি বেচতে হবে!’ এর উল্টোটাও আছে, একজন বাবা যেমন বলেই ফেললেন, ‘একবার ডাক্তার হলেই হল। নার্সিংহোম করে দেব। ও হবে মালিক!’
এই প্রসঙ্গে বজবজের প্রাইভেট কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ শুদ্ধোধন বটব্যাল বলেন, ‘চাহিদা আছে। তাই বিপুল অর্থ খরচ করেও ছেলেমেয়েরা ভর্তি হচ্ছেন।’