ভুয়ো সিমের রমরমা রুখতে কী ব্যবস্থা নিচ্ছে বেঙ্গল STF?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ভুয়ো সিম বাড়বাড়ন্তে বাড়ছে অপরাধ। অন্যের নামে তোলা সিম দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ খোলা হচ্ছে। দেশ ছাপিয়ে, বিদেশেও মেসেজ চালাচালি চলছে। বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠী ও সাইবার অপরাধীরা তথ্য আদানপ্রদান ও কথাবার্তা চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে, প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম বিক্রিতে নিয়মের আরও কড়াকড়ি চাইছে বেঙ্গল এসটিএফ। সিম বিক্রির ক্ষেত্রে নিয়মকানুন আরও কড়া করা হোক, এই মর্মে দিল্লিতে চিঠি পাঠাচ্ছেন এসটিএফের আধিকারিকরা।
ভুয়ো টেলিফোন এক্সচেঞ্জের তদন্ত করতে গিয়ে বিপুল সংখ্যক প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম উদ্ধার হয়েছে। তদন্তে উঠে এসেছে, নানান দোকান থেকে চড়া দামে এই সিম বিক্রি হচ্ছে। মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী নানা সংস্থা থেকে এই সিমগুলো নানান রাজ্যে নিযুক্ত এজেন্টদের কাছে পৌঁছে যায়। তারপর সেখান থেকে কয়েক হাত ঘুরে পৌঁছয় দোকানদারদের কাছে। তদন্তে সামনে এসেছে, জাল আধার বা অন্যকোনও নথি ব্যবহার করে সিম তুলে নেওয়া হচ্ছে। মোবাইল পরিষেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলির বাণিজ্যিক প্রতিযোগিতার কারণেই নিয়মকে আমল না দিয়ে, সিম বিক্রিতে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। কোন সিম, কাকে বিক্রি করা হল, কে কিনল, জমা পড়া নথি অন্যের কি না নাকি আদৌ ক্রেতার সঠিক পরিচয়পত্র আছে কিমা, তা যাচাই করে না সব কোম্পানি। প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম নেওয়ার ক্ষেত্রে বিভিন্ন ফর্ম পূরণ করতে হয়। দোকানদারদের জন্যেও তা প্রযোজ্য। কিন্তু অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা করা হয় না। বহু রকম ফাঁক-ফোকর থেকে যাচ্ছে।
পদ্ধতি তথা নিয়মকানুনের ফাঁক-ফোকরের সুবিধা নিচ্ছে বিভিন্ন জঙ্গি গোষ্ঠী ও সাইবার জালিয়াতরা। তাদের মধ্যে এই সিম ব্যবহারের প্রবণতা বাড়ছে। তারা অসংখ্য সিম কিনছে। দেশের কোনও প্রান্তে বা বিদেশে বসে, মেসেজিং অ্যাপে অ্যাকাউন্ট খুলতে অন্যের নথি দিয়ে কেনা প্রি-অ্যাক্টিভেটেড সিম ব্যবহার হচ্ছে। স্লিপার সেলের সদস্যরা নিজেদের মধ্যে এই সব সিম ব্যবহার করে কথাবার্তা চালাচ্ছে। সাধারণ মানুষদের প্রতারণামূলক মেসেজ পাঠাচ্ছে সাইবার জালিয়াতরা। সেই কারণেই সিম বিক্রির ক্ষেত্রে মোবাইল কোম্পানিগুলিকে আরও জোরালো নিয়ম চালু করার উদ্যোগ নিতে চিঠি দিচ্ছে বেঙ্গল এসটিএফ।