MBBS-র পাঠ্যক্রম থেকে বাদ কোন তিন বিষয়? উদ্বেগ চিকিৎসকমহলে
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: ফ্যামিলি ফিজিশিয়ানদের দিন শেষ, এক ডাক্তারেই আর সমস্যার সমাধান খুঁজতে ছোটেন না রোগীরা। সামান্য সমস্যাতেও মানুষ এমডি, এমএস, স্পেশালিস্টদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। সম্প্রতি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের এক নির্দেশ ফ্যামিলি ফিজিশিয়ানের ধারণা ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনায় জল ঢেলে দিল। ১৬ আগস্ট কমিশন জানিয়েছে, এবার থেকে এমবিবিএস পাঠ্যক্রমে ২১টি বিষয় পড়ানো হবে। এর আগে ২০২০-র অক্টোবরের নির্দেশে ২৪টি বিষয় পড়ানোর কথা ছিল। এমবিবিএস পঠনপাঠনের ন্যূনতম পরিকাঠামো সংক্রান্ত ২০২৩ সালের ঘোষিত নীতিতেও ২৪টি বিষয়ই পড়ানোর কথা ছিল। তিনটি বিষয়ে বাদ গিয়েছে, সেগুলি হল ইমার্জেন্সি, রেসপিরেটরি মেডিসিন ও ফিজিক্যাল মেডিসিন যা নিয়ে তোলপাড় গোটা দেশে। এই তিনটি বিষয় না পড়েই, কীভাবে কেউ স্বয়ংসম্পূর্ণ এমবিবিএস চিকিৎসক হয়ে উঠবেন? উঠছে প্রশ্ন। আশঙ্কা করা হচ্ছে, ইচ্ছা করেই স্পেশালিস্ট কেন্দ্রিক ব্যয়বহুল চিকিৎসার দিকে আম জনতাকে এগিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সরব হয়েছে, বক্ষ চিকিৎসকদের সর্বভারতীয় সংগঠন ইন্ডিয়ান চেস্ট সোসাইটি ও ফিজিক্যাল মেডিসিনের চিকিৎসকদের সংগঠন অ্যাসোসিয়েশন অব ফিজিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড রিহ্যাবিলিটেশন। এই দুই সংগঠন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে চিঠিও পাঠিয়েছে। চেস্ট সোসাইটির বক্তব্য, বায়ুদূষণ দিন দিন বাড়ছে, হাঁপানি, যক্ষ্মার মতো রোগে বিপুল সংখ্যক দেশবাসী ভুগছে। এই পরিস্থিতিতে রেসপিরেটরি মেডিসিনকে পাঠ্যক্রম থেকে বাদ দেওয়া উদ্বেগের। ফিজিক্যাল মেডিসিন চিকিৎসকদের সংগঠনের কথায়, ৭ জন পিছু একজন করে কোনও না কোনও বিকলাঙ্গতায় ভুগছে। এমন পরিস্থিতিতে এহেন সিদ্ধান্ত চিকিৎসা ব্যবস্থাকে পিছনে ঠেলে দিচ্ছে।
ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞদের কথায়, স্ট্রোক, বিকলাঙ্গতা, খেলোয়াড়দের চোট, বিরল অসুখ; সব ক্ষেত্রেই এখন ফিজিক্যাল মেডিসিন প্রয়োজন। এমবিবিএস থেকে তা বাদ চলে গেলে প্রাথমিক বিষয়গুলি নতুনরা কী করে জানবেন, শিখবেন? প্রসঙ্গত, ইমার্জেন্সি মেডিসিনের মূল চারটি ভাগ হল মেডিসিন, সার্জারি, অর্থোপেডিক ও অ্যানাসথেসিওলজি। চিকিৎসকদের মতে, বর্তমানে রোগব্যধির যা পরিস্থিতি তাতে এমবিবিএসে রেসপিরেটরি মেডিসিন পৃথকভাবে রাখা উচিত ছিল।