কেন বাংলায় লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বিবাহবিচ্ছেদের ঘটনা?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: লাফিয়ে লাফিয়ে বিবাহবিচ্ছেদের সংখ্যা বাড়ছে বাংলায়। ২০১৯ থেকে ২০২২, অর্থাৎ চার বছরে রাজ্যে ১৪ হাজার ৫০৯টি ডিভোর্সের ঘটনা ঘটেছে। চলতি বছরের প্রথম ছ’মাসে ১৮,২৮৯টি ডিভোর্সের ঘটনা ঘটেছে রাজ্যে। সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০১৯ সালে ৯২,৯৪৮টি যুগলের বিয়ে হয়েছিল। সে’বছর ১,৯৯৭ জন দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরের বছর ১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৭১৮টি বিয়ে হয়েছিল, এবং ৩ হাজার ৩৬ জন দম্পতির বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। ২০২১ সালে করোনার দাপট সত্ত্বেও বিয়ের সংখ্যা বাড়ে। ১ লক্ষ ৮৮ হাজার ৮১৪ টি বিয়ে সম্পন্ন হয়েছিল সেই বছর। ৪ হাজার ৩৫১ দম্পতির ডিভোর্স হয়। ২০২২ সালে ডিভোর্সের সংখ্যা পৌঁছয় ৫ হাজার ১২৫-এ। গত বছর বাংলায় ১ লক্ষ ৮২ হাজার ৭৪টি বিয়ে হয়েছিল। চলতি বছর প্রথম ছ’মাসে বিয়ে হয়েছে ১ লক্ষ ১৫ হাজার ৪৪৬টি আর ৩ হাজার ৭৮০টি ডিভোর্স হয়েছে। বছরের প্রথম ছয় মাসের পরিসংখ্যানই জানান দিচ্ছে, চলতি বছর ডিভোর্সের সংখ্যা রেকর্ড গড়তে পারে বাংলায়।
মনস্তত্ত্ববিদরা আবার বিচ্ছেদের এহেন পরিসংখ্যান নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন। তাঁদের সাফ যুক্তি, ডিভোর্সের পরিস্থিতি আগেও তৈরি হত। তখন মেয়েদের অর্থনৈতিক স্বাধীনতা না থাকায়, তাঁরা বিবাহ বিচ্ছেদের কথা ভাবতেই পারতেন না। আর্থিক স্বনির্ভরতার সঙ্গে সঙ্গে আজকের যুগের মহিলারা মনের দিক থেকেও অনেক বেশি স্বাধীনচেতা। জোর করে সম্পর্ক জিইয়ে রাখতে তাঁরা খুব একটা রাজি হন না।সমাজতত্ত্ববিদরা মনে করছেন, মেয়েদের আর্থিক স্বাধীনতার কারণেই ডিভোর্স বাড়ছে, ভেবে নিলে তা ভুল হবে। এখন সবাই আত্মনির্ভর। নিজেদের জীবনে জোর করে কাউকে জড়িয়ে রাখতে চাইছে না তারা। করোনা পরবর্তী সময়ে, এই প্রবণতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছ। সিঙ্গল ফাদার, সিঙ্গল মাদার হিসেবে নিজেদের জীবন যাপন করতে অনেকেই ভরসা পাচ্ছেন।