চাঁদের পর এবার ISRO-র লক্ষ্য সূর্য জয়! ২ সেপ্টেম্বর পাড়ি দেবে আদিত্য-এল১
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: চাঁদের বুকে ভারতের নাম স্থায়িভাবে লিখে ফলেছে ইসরো। এবার লক্ষ্য সূর্য। পরিকল্পনামাফিক চাঁদের দক্ষিণ মেরুর কাছে সফ্ট ল্যান্ডিং করেছে ল্যান্ডার বিক্রম। এখন চাঁদের মাটিতে তথ্য সংগ্রহের কাজ চালাচ্ছে রোভার প্রজ্ঞান। এই অনন্য কৃতিত্বের পর এবার ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ইসরোর নজরে সূর্য। আগামী মাসের শুরুতেই সৌর অভিযানে যাচ্ছে ভারত। সোমবার ভারতীয় মহাকাশ সংস্থা ইসরোর তরফে জানানো হয়েছে, আগামী শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টা ৫০ মিনিটে অন্ধ্রপ্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে পিএসএলভি-৫৭ রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দেবে আদিত্য-এল১। যে ঐতিহাসিক দৃশ্য ইসরোর বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া পেজে (ইউটিউব ও ফেসবুক) দেখা যাবে।
পৃথিবী থেকে সাড়ে ১০ লক্ষ কিলোমিটার দূরে পাঠানো হবে আদিত্য এল১-কে। সূর্যের অভিমুখে এগিয়ে ওই দূরত্বের পর থামবে উপগ্রহটি। এই অংশকে বলা হয় ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট। ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট হল মহাকাশের এমন একটি অঞ্চল যেখানে দু’টি মহাজাগতিক বস্তুর (এ ক্ষেত্রে সূর্য এবং পৃথিবী) আকর্ষণ এবং বিকর্ষণ বল একসঙ্গে ক্রিয়াশীল। ফলে এই অঞ্চলে পৌঁছে কৃত্রিম উপগ্রহ স্থির থাকতে পারে। সূর্য, পৃথিবীর এই ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্টই আদিত্য এল১-এর লক্ষ্য।
ইসরো সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় দেড় হাজার কেজি ওজনের এই গবেষণাধর্মী কৃত্রিম উপগ্রহে থাকবে সাতটি পেলোড। যার মাধ্যমে ফটোস্ফিয়ার, ক্রোমোস্ফিয়ার এবং সূর্যের সবচেয়ে বাইরের স্তর ও করোনাকে বিভিন্ন তরঙ্গব্যান্ডে পর্যবেক্ষণ করা হবে। ইসরো জানিয়েছে, সূর্যের সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহের জন্য এটিই হল তাদের প্রথম মহাকাশভিত্তিক গবেষণাগার। সূর্যের কর্মকাণ্ড এবং মহাকাশের আবহাওয়ার উপর তার প্রভাব বিশ্লেষণ করে দেখবে সম্পূর্ণ দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি আদিত্য-এল১। সূর্যের উত্তাপ, সৌরপদার্থের নিঃসরণ, সৌরঝড়ের মতো সূর্যকেন্দ্রিক বিষয়গুলি বুঝতে বিজ্ঞানীদের সাহায্য করবে আদিত্য এল১-এর পেলোডগুলি। এতে বিদ্যুৎচৌম্বকীয় কণা এবং চৌম্বকীয় ক্ষেত্র ডিটেক্টর ব্যবহার করা হয়েছে। ল্যাগরেঞ্জ পয়েন্ট এল১-এ পৌঁছতে আদিত্য-এল ১ সময় নেবে ১০০ দিন।