আম জনতার করের টাকা জলে? কোন ৮ মন্ত্রককে নোটিশ খোদ মোদী সরকারের?
নিউজ ডেস্ক, দৃষ্টিভঙ্গি: দোরগোড়ায় লোকসভা ভোট। কিন্তু অসংখ্য প্রকল্পের কাজ এখনও বিশ বাঁও জলে। প্রকল্প রূপায়ণে ডাহা ফেল মোদীর মন্ত্রীরা, একগুচ্ছ মন্ত্রকের ব্যর্থতায় ক্ষিপ্ত মোদী সরকার। অর্থমন্ত্রকও উদ্বেগে। আম জনতার করের ৪ লক্ষ ৬৫ হাজার কোটি টাকা জলে গিয়েছে বিলম্বের জেরে। ব্যর্থতার নিরিখে শীর্ষে থাকা আট মন্ত্রককে, শো কজ নোটিশ ধরিয়েছেন মোদী সরকারের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। কাজের স্টেটাস রিপোর্টও চেয়েছেন তিনি। রেল, পেট্রলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস, সড়ক পরিবহণ, জলশক্তি, বিদ্যুৎ, কয়লা, অসামরিক বিমান পরিবহণ এবং নগরোন্নয়ন ও আবাসন; এই আট মন্ত্রককে নোটিশ পাঠিয়ে নভেম্বরের মধ্যে কাজে বিলম্বের হিসেব-নিকেশ দিতে বলা হয়েছে।
২০১৪ থেকে, প্রচার ও চমকের রাজনীতির অংশ হিসেবে, একের পর এক প্রকল্প ঘোষণা করে গিয়েছে মোদী সরকার। ফলে আগের পড়ে থাকা বকেয়া প্রকল্পের পাশাপাশি আরও প্রকল্প যুক্ত করে অর্থমন্ত্রকের মাথায় আর্থিক বোঝা চাপিয়েছে মোদী সরকার। ২০২৪ সালের লোকসভা ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলতেই টনক নড়েছে মোদীর।
সরকারি পরিসংখ্যান বলছে, পরিকাঠামো সংক্রান্ত মোট ৮০৯ টি প্রকল্পের কাজ দেরিতে চলছে। ৩৮৮টি প্রকল্পের জন্য ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লক্ষ ৬৫ হাজার কোটি টাকা। ব্যর্থতার তালিকার শীর্ষে রেল ও পেট্রলিয়াম মন্ত্রক। রেলের ৯৮ শতাংশ পরিকাঠামো প্রকল্পই দেরিতে চলছে। পেট্রলিয়ামের ক্ষেত্রে পরিমাণটা ৮১ শতাংশ।
জানা গিয়েছে, আট মন্ত্রকই পরিকাঠামো নির্মাণ সংক্রান্ত প্রকল্প সময়মতো এগিয়ে নিয়ে যেতে পারছে না। পিছিয়েই যাচ্ছে কাজ। কেন এই বিলম্ব? কাজ শেষ করতে কতদিন সময় লাগবে? আদৌ শেষ করা যাবে কি? আট মন্ত্রকের কাছে জানতে চেয়েছে অর্থমন্ত্রক। প্রত্যেককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, বিলম্বের সময়সীমা অন্তত ২০ শতাংশ কমাতেই হবে। অর্থমন্ত্রক তরফে আরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, নভেম্বর মাসের মধ্যে নিছক স্টেটাস রিপোর্ট জমা দিলে হবে না, সমাধানের উপায়ও জানাতে হবে।